হাকিকুল ইসলাম খোকন,সিনিয়র প্রতিনিধিঃ যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অংগরাজ্যের মসজিদ মোহাম্মদ নেওয়ার্ক এর মসজিদের ইমামকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার ,৩জানুয়ারী ফজরের নামাজের পর মসজিদের বাইরে তাকে গুলি করা হয়। পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান।। সাউথ অরেঞ্জ অ্যাভেনিউ এবং ক্যামডেন স্ট্রিটে ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্টিত মসজিদ মোহাম্মদ- নেওয়ার্কের বাইরে স্থানীয় সময় সকাল ৬.১৫-এর দিকে ইমাম হাসান শরিফ গুলিবিদ্ধ হন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ সময় তিনি তার গাড়িতে ছিলেন বলে জানা গেছে। তাকে একাধিক গুলি করা হয়। হত্যাকারী এখনো পলাতক রয়েছে। বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে গভর্নর ফিল মারফি বলেন, ইমাম হাসান শরিফের জন্য প্রার্থনা করছি। তিনি নেওয়ার্কের মসজিদ মোহাম্মদের বাইরে আজ সকালে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবরে জানা গেছে। তবে তাকে কেন গুলি করা হয়েছে, তার সম্ভাব্য কারণ এখনো জানা যায়নি। সংবাদ সম্মেলনে, রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাট প্লটকিন বলেন, তদন্তকারীরা এখনও গুলি চালানোর পেছনের উদ্দেশ্য জানেন না।তদন্ত হচ্ছে। কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস-এর নিউ জার্সি বিবৃতিতে বলেছে , সন্ত্রাসী সম্পর্কে তথ্য থাকলে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। গ্রেপ্তার এবং দোষী সাব্যস্ত করার জন্য তথ্য সহ যে কেউ ২৫ হাজার ডলার পুরষ্কারও দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। Police cars are parked outside a yellow and green building. ক্যামডেন স্ট্রিটে ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্টিত মসজিদ মোহাম্মদ- নেওয়ার্ক হাসপাতালের ভর্তি সূত্রে জানা যায় , স্থানীয় সময় ভোর ৬টায় সেখানে ফজরের নামাজ হয়। নামাজের পর তিনি বাইরে এলে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পরে তার মৃত্যুর খবরটি জানানো হয়। নেওয়ার্কের পাবলিক সেফটি ডিরেক্টর ফ্রিটজ ফ্রেগ এক বিবৃতিতে বলেন, ইমাম শরিফকে নিকটস্থ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়। পরে তিনি সেখানেই মারা যান। কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্সের নিউ জার্সি শাখার মুখপাত্র দিনা সায়েদ আহমদ এক বিবৃতিতে বলেন, এই ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাথু প্লাটকিন বলেন, কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটল, সে সম্পর্কে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। অবশ্যই সম্ভব সব দিক থেকেই অনুসন্ধান করা হবে এবং হামলাকারী বা হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। জানা যায়, ইমাম হাসান শরিফ ২০০৬ সাল থেকে নেওয়ার্ক লিবার্টি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অফিসার (টিএসও) হিসেবেও কাজ করছিলেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন