বিগত তিন দশকে ঢালিউডে আর কোনো নায়িকা শাবনূরের স্থান পূরণ করতে পারেননি। ঢালিউড ছবির ইতিহাসে সেরা অভিনেত্রীর তালিকায় নির্দ্বিধায় তিনি প্রথম সারির। দীর্ঘ সময় ধরেই অভিনয় থেকে দূরে এই অভিনেত্রী। তবে মাসখানেক আগে দেশে ফিরে ঘোষণা দিলেন, তিনি অভিনয়ে ফিরবেন।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল চয়নিকা চৌধুরীর ‘মাতাল হাওয়া’ দিয়ে ফিরবেন। এক সপ্তাহ পর জানা গেল, ‘মাতাল হাওয়া’র আগেই করবেন নতুন পরিচালক আরাফাত হোসাইনের ‘রঙ্গনা’। শুধু তা-ই নয়, আগামী ঈদেই নাকি মুক্তি পাবে ছবিটি।
এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমাটির ফার্স্ট লুক পোস্টার।
পোস্টারটি প্রকাশের পর ইতিবাচক-নেতিবাচক নানা ধরনের মন্তব্য করছেন শাবনূরভক্তরা। তবে ভক্তদের একটি অংশ চাইছে তিনি ছবিটি না করুন।
শাবনূরের ফেরা এবং ‘রঙ্গনা’ ইস্যুতে সমালোচনা নিয়ে সেখানে পরিচালক হিসেবে নয়, শাবনূরভক্ত হিসেবে তাঁর প্রতি কিছু আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, অন্য শাবনূরভক্তদের মতো তিনিও চান শাবনূর ‘মানহীন’ ছবিতে অভিনয় না করুন।
গতকাল সোমবার নিজের ফেসবুকে মানিক লিখেছেন, ‘গত কয়েক দিনে একটি পোস্টারকে ( ‘রঙ্গনা’ সিনেমার পোস্টার) কেন্দ্র করে, সবার প্রিয় অভিনেত্রী শাবনূরকে যেভাবে ট্রল করা হয়েছে, তা মনে হয় শাবনূরের এত বছরের অভিনয় জীবনে কোনো দিন করা হয়নি। একজন শাবনূরভক্ত হিসেবে এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। খোদ শাবনূরভক্তরা একে বয়কটের ডাক দিয়েছে।’
এরপর তিনি লিখেছেন, ‘এই ট্রলের যুগে, শাবনূরের যদি আবার মুভি করতেই হয়, অত্যন্ত বুঝেশুনে করা উচিত। আমি বিশ্বাস করি, বর্তমান সময়ের অনেক মেধাবী এবং জনপ্রিয় পরিচালক তাঁর সাথে কাজ করতে আগ্রহী।
চয়নিকা চৌধুরী, রায়হান রাফী, নিয়ামুল মুক্ত, এন এস বুলবুল বিশ্বাস এরই মধ্যে তাঁর সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ আমাকে নিজে বলেছেন তাঁকে নিয়ে কাজ করার কথা। আমার মনে হয় নিজেকে আরো ফিট করে আরো সময় নিয়ে এসব পরিচালকের সাথে রাজকীয়ভাবে তাঁর ফেরা উচিত।’
মানিক আরো লিখেছেন, ‘এক্সপেরিমেন্টের কোনো সুযোগ নেই এই সময়। মনে রাখতে হবে এটা ১৯২৪ না, এটা ২০২৪। বিখ্যাত সব পরিচালক, প্রযোজক, কাহিনিকার, ডিওপি, এমনকি অসংখ্য স্পট বয়ের প্রচেষ্টার সাথে শক্তিশালী অভিনয় দক্ষতার মিশেলে গড়ে উঠেছে শাবনূরের আজকের সর্বজনীন ইমেজ। কিছু লোকের অদক্ষতা, ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা আর শাবনূরের নিজের খামখেয়ালির জন্য এই ইমেজ, এই জনপ্রিয়তা, এই প্রতিমা ধ্বংস হোক, আমিসহ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অগণিত শাবনূরভক্ত তা কোনো দিন চায় না।’
সব শেষে নিজেকে শাবনূরভক্ত দাবি করে এই নির্মাতা লিখেছেন, ‘প্রয়োজনে আমার মুভিও রিজেক্ট করুন, তবু কাউকে নিজের ইমেজ শেষ করার সুযোগ দেবেন না প্লিজ। মূর্খ অদক্ষ কোনো মেকআপম্যান যদি আপনার উপদেষ্টা হয় তাহলে বলার কিছু নাই। আপনি তাদের ব্যক্তিগতভাবে ভালোবাসুন, কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু নিজের ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে এদের বর্জন করুন, দরকারে আমাকেও বর্জন করুন। আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে এই কথাগুলো বলতে না পেরে এই পোস্ট দিলাম। আশা করি ভুল বুঝবেন না।’
২০০৫ সালে মানিকের ‘দুই নয়নের আলো’ সিনেমায় অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন শাবনূর।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন