চলতি সপ্তাহে একই সঙ্গে আদালতে হাজিরা দেওয়া এবং নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর কথা রয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট শুরুর আগে কার্যত আদালত ও প্রচারাভিযানে তাঁকে ঘুরপাক খেতে হচ্ছে।
২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প জয় পেয়েছেন—এই দাবির ভিত্তিতে প্রচারণার কৌশল ঠিক করা এবং প্রতিশোধের স্পষ্ট আহবান তাঁকে প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে রেখেছে। একই সঙ্গে তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করতে প্রধান রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী রন ডি স্যান্টিস ও নিকি হ্যালির চেষ্টাকে জটিল করে তুলেছে এই কৌশল।
আগামী ১৫ জানুয়ারি আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ককাসের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হবে ট্রাম্পের আইনি দুর্দশা ও নির্বাচনের প্রচারণার ভবিষ্যৎ।
ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান স্বৈরাচারী মনোভাব তাঁর সাম্প্রতিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে জানা যাবে মার্কিন নাগরিকদের ভবিষ্যৎ ট্রাম্পের সঙ্গে কতটা জড়িত। এরই মধ্যে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি আরো বেশি অদম্য হবেন এবং সম্ভবত তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলার ইতি টানতে চাইবেন।
চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনী হস্তক্ষেপের মামলায় ওয়াশিংটনের আদালত এবং জালিয়াতির মামলায় নিউ ইয়র্কের আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ট্রাম্পের।
আইন ও রাজনৈতিক সংঘাত
বেশ কয়েকটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের আদালতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে অংশ নিতে এবং আগামী বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কের আদালতে জালিয়াতি মামলার চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপনে উপস্থিত থাকার পরিকল্পনা করেছেন ট্রাম্প। এই দুই মামলায় উপস্থিত হওয়ার মধ্যবর্তী সময় আগামীকাল বুধবার ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে চড়ে আইওয়ায় ফিরে আসবেন ট্রাম্প। ‘ফৌজদারি অভিযোগ ও জালিয়াতির মামলায় নির্দোষ’ এবং ‘রিপাবলিকানরা তাঁকে ফাঁসিয়েছে’—এমন দাবি প্রচারাভিযানে ব্যবহার করে আসছেন ট্রাম্প।
এর মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রভাব বিস্তার করতে চাইছেন তিনি।
ট্রাম্পকে ঠেকাতে মরিয়া ডিস্যান্টিস ও হ্যালি
চলতি সপ্তাহে একই সঙ্গে আদালতে হাজিরা দেওয়া এবং প্রচারাভিযান ট্রাম্পকে ঠেকানোর সুযোগ করে দেবে প্রতিদ্বন্দ্বী রন ডিস্যান্টিস ও নিকি হ্যালিকে। আগামীকাল আইওয়া অঙ্গরাজ্যে এক বিতর্কে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে এই দুই রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীর।
তবে এতে অংশ নেবেন না ট্রাম্প। বরং ফক্স নিউজের নিরাপদ পরিবেশে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি।
তাই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভয় পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন ডিস্যান্টিস ও হ্যালি।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন