পাঁচ দশকেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো চন্দ্রাভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে চন্দ্রযানটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ক্যাপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার বেসরকারি সংস্থা ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স (ইউএলএ) নতুন রকেটটি উৎক্ষেপণ করে। রকেটে সংযুক্ত ছিল মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রোবটিক নির্মিত পেরিগ্রিন লুনার ল্যান্ডার।
সব ঠিক থাকলে এই ল্যান্ডারটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে। উৎক্ষেপণের প্রায় ৪৮ মিনিট পর রকেট থেকে ল্যান্ডারটি সফলভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় উল্লাসে মাতেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এই সফল উৎক্ষেপণকে বড় মাইলফলক বিবেচনা করা হচ্ছে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার লাইভস্ট্রিমে প্রচারিত চন্দ্রযান উৎক্ষেপণ কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন ইউএলএর প্রেসিডেন্ট ও সিইও টনি ব্রুনো।
তিনি বলেন, ‘আমি খুব রোমাঞ্চিত। এটি কয়েক বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফল।’ ইউএলওর কৌশলগত পরিকল্পনা পরিচালক এরিক মণ্ডা এই উৎক্ষেপণ কার্যক্রমকে ‘নিখুঁত’ আখ্যা দিয়েছেন।
সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হলে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি চাঁদের মধ্য-অক্ষীয় অঞ্চল ‘সাইনাস ভিসকোসিটাসিস’ বা ‘বে অব স্টিকিনেসে’ অবতরণ করবে পেরিগ্রিন ল্যান্ডার।
চাঁদ সংশ্লিষ্ট অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বাণিজ্যিক খাতের দিকে ঝুঁকছে যুক্তরাষ্ট্র। কমার্শিয়াল লুনার পেলোড সার্ভিসেস (সিএলপিএস) কর্মসূচির আওতায় নিজেদের যন্ত্রপাতি কম খরচে সেখানে পাঠাচ্ছে দেশটি। এ পর্যন্ত মাত্র কয়েকটি দেশ চাঁদে মহাকাশযান অবতরণে সফল হয়েছে। ১৯৬৬ সালে প্রথমবারের মতো সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশযান চাঁদে অবতরণ করে। ১৯৬৯ সালে মানুষসহ চাঁদে মহাকাশযান সফলভাবে অবতরণ করায় যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে গত দশকে তিনবার চন্দ্রাভিযানে সফল হয়েছে চীন। সর্বশেষ গত বছর ভারত প্রথমবারের মতো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান অবতরণ করায়।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন