ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িক ভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশজুড়ে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে কুয়াশার আধিক্য।
কোথাও মাঝারি আবার কোথাও ঘন কুয়াশা। দেশের কয়েকটি অঞ্চলে এই কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হচ্ছে। কুয়াশার আধিক্যের কারণে অস্থায়ীভাবে ভেঙে পড়ছে যোগাযোগব্যবস্থা। এই ঘন কুয়াশা আরো তিন দিন থাকবে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে শরীয়তপুর-চাঁদপুর ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে গতকাল বুধবার ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকবে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
একই সঙ্গে দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত।
বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বিরাজ করছে। শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, ‘দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কুয়াশার প্রবণতা বেশি থাকবে। নদীর আশপাশে কুয়াশার পরিমাণ বেশি থাকবে। আবার এসব অঞ্চল দিয়ে শীতের বাতাস আসছে।
ফলে এসব এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে হীম ঠাণ্ডা অনুভূত হবে।’
এই আবহাওয়াবিদ আরো জানান, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীর বদলগাছীতে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন