ওয়ার্ক পারমিট, কেয়ার ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাজ্য আছেন সিলেটের হাজার হাজার তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী ও শিক্ষার্থী। সিলেটসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গিয়ে সেখানে অস্থায়ীভাবে অবস্থানরতদের সরকারি আর্থিক সুবিধা গ্রহণের ব্যাপারে যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন সে দেশের উচ্চ আদালত।
নন-সেটেল্ড ভিসাধারীদের ভিসার শর্তে ও ভিসার বায়োমেট্রিক কার্ডে পাবলিক ফান্ডে এক্সেস নেই লেখা থাকলেও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বা শিশু সন্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তারা শর্তের বাইরে গিয়েও সরকারি আর্থিক সুবিধা নিতে পারবেন। তবে উদ্দেশ্যমূলক হলে বাতিল হবে ভিসা।
আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির হোম অফিস গতকাল বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিষয়টি নিয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে।
গাইডলাইনে বলা হয়েছে, উদ্ভূত বিশেষ পরিস্থিতিতে আবেদনকারী যে ভিসায় আছেন, সে ভিসার শর্ত পূরণ করেছেন কিনা, তা পর্যালোচনা ও অনুসন্ধান করে দেখবে হোম অফিস। অস্থায়ী ভিসায় থাকা ব্যক্তিরা ভিসার শর্ত না মানলে নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। তবে কোনও আবেদনকারী যদি তার বিশেষ অবস্থা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির শিকার হন, শুধু তাদের জন্য এ সুযোগটি প্রযোজ্য হবে।
কেয়ার, ওয়ার্ক পারমিট বা স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষের পরেও সরকারের বেনিফিট সুবিধা নিতে পারবেন, যদি আবেদনকারী তার বিশেষ অবস্থার তথ্য প্রমাণ করতে পারেন।
তবে এ আবেদন সুযোগটির অপব্যবহার রোধে মিথ্যা তথ্য দিলে বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কেউ বেনিফিট নিতে চাইলে ভিসা বাতিলের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে হোম অফিস।
বিশেষ বা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আয় বন্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে শিশুর নিরাপত্তার প্রশ্ন থাকলে শুধু সে ক্ষেত্রে অস্থায়ী ভিসায় থাকা ব্যক্তি হোম অফিসে নতুন ভিসা বা বর্ধিতকরণের ভিসার আবেদন জমা থাকার সময়ও বেনিফিট সুবিধার আবেদন করতে পারবেন।
এর আগে স্পাউস ভিসায় থাকা ব্যক্তির ক্ষেত্রেও উদ্ভূত বিশেষ পরিস্থিতিতে বেনিফিট নেওয়ার গাইডলাইন দিয়েছিল হোম অফিস। তবে তাদের ক্ষেত্রে নতুন ভিসা বা পরবর্তী বর্ধিত ভিসার আবেদনের সময় সেই সময়ে ভিসাটির প্রচলিত শর্ত আবেদনকারীকে পূরণ করতে হবে। শুধু বিশেষ পরিস্থিতির জন্য উপযুক্ত প্রমাণসাপেক্ষে এ শর্তটি বিবেচনা করবে হোম অফিস।
এ ব্যাপারে লন্ডনের চ্যান্সেরি সলিসিটর্সের কর্ণধার ব্যারিস্টার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, শুধু বিশেষ ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ সুবিধা নেওয়া যাবে। এ সুবিধা সবার জন্য নয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন