ইন্দোরে টস করতে নামার সময়ই অনন্য এক রেকর্ড গড়েন রোহিত শর্মা। প্রথম খেলোয়াড় হিসাবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দেড়শ ম্যাচ খেলার মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড অবশ্য আগে খেকে ছিল ভারত অধিনায়কের দখলে। মাইলফলক ছোঁয়া ম্যাচে গোল্ডেন ডাক (প্রথম বলে আউট) হয়েছেন রোহিত শর্মা।
ফজলহক ফারুকির বলে হয়েছেন সরাসরি বোল্ড।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘদিন পর দেশের হয়ে এই সংস্করণে মাঠে ফিরেছেন বিরাট কোহলি। সবশেষ তিনি ভারতের হয়ে এ্ই সংস্করণে খেলেছেন ২০২২ সালের নভেম্বরে। ফেরা ম্যাচে ২৯ রান করে আউট হয়েছেন কোহলি।
রোহিত ব্যর্থ, কোহলি বড় কিছু করে দেখাতে পারেনি তবু জয়োৎসব করেই মাঠ ছেড়েছে ভারত।
রোহিতের মাইলফলক এবং কোহলির দীর্ঘদিন পর ফেরা ম্যাচে ভারত ৬ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তানকে। যশ্বসী জয়সওয়াল এবং শিভম দুবের বিধ্বংসী হাফসেঞ্চুরিতে আফগানিস্তানের ১৭২ রান ২৬ বল বাকী থাকতে ছাড়িয়ে গেছে ভারত (১৭৩/৪)। ইন্দোরের বিশাল জয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারে খারাপ ছিল আফগানিস্তানের। ৫ ওভারে ১ উইকেটে দলীয় স্কোর পঞ্চাশ পেরোয়। তারা একশ ছুঁয়েছে ১৩.২ ওভারে। যদিও তখন রানের গতি কিছুটা কমে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ দিকের ঝড়ে পৌনে দুইশ ছুঁই ছুঁই ১৭২ রান হয় আফগানদের স্কোর।
শেষ পাঁচ ওভারে তারা স্কোরবোর্ডে জমা করে ৬৩ রান। আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন গুলবাদিন নাইব। ৩৫ বলে ৪টি ছক্কা এবং ৫টি চারে ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরিটি করেছেন তিনি। ভারতের হয়ে ৩২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন আর্শ্বদ্বীপ সিং। দুটি করে শিকার রবি বিস্ময় এবং অক্ষর প্যাটেলের।
ওই রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের পঞ্চম এবং নিজের প্রথম বলে আউট হয়ে যান রোহিত শর্মা। ক্যাচ দিয়েছিলেন যশ্বসী জয়স্ওয়ালও। তবে নিজের বলে ফিরতি ক্যাচটা নিতে পারেননি ফারুকি। ১৩ রানে পাওয়া জীবনটা কাজে লাগিয়ে ৬৮ রানের সাইক্লোণ ইনিংস খেলেছেন জয়সওয়াল। ৩৪ বলে ৬টি ছক্কা এবং ৫টি চারে বিস্ফোরক হাফসেঞ্চুরিটি করেছেন জয়সওয়াল। ব্যাট হাতে তান্ডব চালিয়েছেন শিভম দুবেও। ৩২ বলে ৪টি ছক্কা এবং ৫টি চারে ৬৩ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেছেন শিভম দুবে। জয়সওয়াল ও দুবের ব্যাটের ঝড়ে সহজে জয়ের বন্দরে নোঙর করে ভারত।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন