সৌন্দর্য আর সামরিক বাহিনীতে কাজের সুবাদে অনলাইনে আলোচনায় থাকা ব্রুনেইয়ের যুবরাজ আব্দুল মতিন নিজের ব্যাচেলর তকমা ঘুচিয়ে প্রণয়ে বাঁধা পড়েছেন একটি সাধারণ পরিবারের তরুণীর সঙ্গে। ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া রাজকীয় এই বিয়ের ১০ দিনের জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব শেষ হয় রবিবার।
গত ডিসেম্বরে ইয়াং মুলিয়া আনিশা রোসনা নামের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেম ও বাগদানের কথা জানান নেট দুনিয়ায় বিখ্যাত যুবরাজ মতিন। এশিয়ার সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ব্যাচেলরের মধ্যে একজন হিসেবে পরিচিত যুবরাজ মতিনের (৩২) এই ঘোষণায় তাঁর অনেক ভক্তই অবাক হয়েছিলেন।
মুলিয়া আনিশা ব্রুনেইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়ার একজন উপদেষ্টার নাতনি। ২৯ বছর বয়সী এই তরুণী একটি ফ্যাশন ও পর্যটনবিয়ষক কম্পানির মালিক বলে জানা গেছে।
ইসতানা নুরুল ইমান প্রাসাদে বিয়ের অনুষ্ঠানে আব্দুল মতিন হাজির হয়েছিলেন আনুষ্ঠানিক পোশাক পরে। তাঁর নববধূ পরেছিলেন একটি দীর্ঘ সাদা পোশাক।
সঙ্গে নিজেকে সাজিয়েছিলেন নানা অলংকারে।
সৌদি আরব ও জর্দানের রাজপরিবারের সদস্য, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ও ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রসহ পাঁচ হাজার অতিথি বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। মূলত গত বুধবার ইসলামী রীতি মেনে মুলিয়া আনিশাকে বিয়ে করেন যুবরাজ মতিন। বিয়ের এই পর্বে যুবরাজ, তাঁর বাবা ও অন্য পুরুষ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় টিভি স্টেশনগুলো বুধবার বিয়ের অনুষ্ঠানের কিছু অংশ সম্প্রচার করে। ফুটেজে দেখা যায়, নাগরিকরা রাজধানীর রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে এবং রাজকীয় গাড়িবহরে এ দম্পতিকে সোনার গম্বুজযুক্ত মসজিদের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
রাজকীয় গাড়িবহরে ব্রুনেইয়ের যুবরাজ আব্দুল মতিন এবং ইয়াং মুলিয়া আনিশা রোসনা। ছবি : এএফপি
স্কুল শিক্ষিকা নরলিহা মোহাম্মদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, রাজকীয় দম্পতিকে এক নজর দেখার সুযোগটি ছিল ‘জীবনে একবারই পাওয়ার মতো মুহূর্ত’।
বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি শাসক এবং অন্যতম ধনী ব্রুনেইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়ার দশম সন্তান যুবরাজ মতিন।
তিনি সিংহাসনের উত্তরাধিকারের দাবিদার নন। তবে তাঁর অবস্থান ব্যাপকভাবে বাড়ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রয়েছে তাঁর ব্যাপক উপস্থিতি। ছবি শেয়ারিং প্ল্যাটফরম ইনস্টাগ্রামে তাঁর ২৫ লাখ ও ছোট আকারের ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফরম টিকটকে কয়েক হাজার ফলোয়ার আছে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন