রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি তেল ডিপোতে শুক্রবার ড্রোন হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইউক্রেন। হামলার ফলে ডিপোতে বিশাল অগ্নিকাণ্ড হয়। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার তেলের ডিপোতে এটি দ্বিতীয় হামলা। ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে মস্কোর হামলার জবাবে কিয়েভ ‘ন্যায্য’ প্রতিশোধ হিসেবে এ হামলাকে অভিহিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে রুশ শহর ক্লিন্সিতে অবস্থিত রোসনেফট কম্পানির তেল সংরক্ষাণাগারকে লক্ষ্য করে শুক্রবারের হামলাটি হয়। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান গোয়েন্দা অধিদপ্তর হামলাটি পরিচালনা করেছে বলে একটি ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে নিশ্চিত করেছে। তবে তারা বিস্তারিত আর কিছু বলেনি।
ভিডিওতে দেখা গেছে, তেল ডিপোর ট্যাংকের মধ্য দিয়ে বিশাল আকারের আগুন জ্বলছে।
কালো ধোঁয়া ৬০ হাজার বাসিন্দার শহরকে ঢেকে ফেলেছে।
আঞ্চলিক গভর্নর আলেকজান্ডার বোগোমাজ বলেছেন, ‘ক্লিনসিতে চারটি তেলের ট্যাংক পুড়ছে। নিরাপত্তার কারণে বেসরকারি খাতের ৩২ জন বাসিন্দাকে অস্থায়ীভাবে আত্মীয়দের কাছে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একটি অস্থায়ী আবাসনকেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
’
এ হামলার কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে ১৩টি ফায়ার ট্রাক মোতায়েন করা হয়েছিল বলে বোগোমাজ আগেই ঘোষণা করেছিল। তিনি বলেছেন, একটি ড্রোন ডিপোতে ‘গোলাবারুদ’ ফেলার পর আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে ড্রোনটি আটকানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
বোগোমাজ আরো জানিয়েছেন, এই অঞ্চলকে লক্ষ্য করে পাঠানো আরো দুটি ড্রোন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ভূপাতিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া একটি স্থানীয় ট্রেন অপারেটর বলেছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য, বিশেষ করে বড় আগুন মোকাবেলায় সজ্জিত একটি ট্রেন শহরে ছুটে গেছে।
প্রায় দুই বছরের যুদ্ধজুড়ে তেল, গ্যাস অবকাঠামোসহ রাশিয়ার ভূখণ্ডকে লক্ষ্যবস্তু করেছে কিয়েভ। তবে গত দুই মাসে এই হামলাগুলো তীব্র হয়েছে। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার উত্তরে লেনিনগ্রাদ অঞ্চলে বৃহস্পতিবার একটি বিরল ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছে তারা।
সূত্র : এএফপি
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন