দুই দলের ক্রিকেটারদের নামেভারে বিপিএলের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচের তকমা পেয়ে গিয়েছিল রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচটা। এরমধ্যে আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন দেশের ক্রিকেটের দুই তারকা সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তামিমের বরিশালের কাছে হার মেনেছে সাকিবের রংপুর। যদিও যেমনটা ভাবা হচ্ছিল, ম্যাচটা সে অর্থে উত্তেজনার পারদ ছুঁতে পারেনি।
আগে ব্যাটিং করে ১৩৮ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। ৫ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নিয়েছে বরিশাল।
দুই ওপেনার তামিম ও ইব্রাহিম জাদরান বরিশালকে ভালো শুরু এনে দেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৩২ রান।
ইব্রাহিমকে ১২ রানে ফেরান সাকিব। তাঁর সঙ্গী তামিম ২৪ বলের ইনিংসে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৩৫ রান করে মোহাম্মদ নবির বলে স্টাম্পড হন। এরপর দ্রুতই ফেরেন সৌম্য সরকার। তবে বরিশালকে পথ হারাতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ-মুশফিকুর রহিম।
মিরাজ ১৮ ও মুশফিক ২৭ রান করেন। শোয়েব মালিককে নিয়ে জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন শোয়েব মালিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
শোয়েব ১৭ ও দুই ছক্কায় মাহমুদ ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। দুই ছক্কার দ্বিতীয়টিতে শেষ ওভারের প্রথম বলে দলের জয় নিশ্চিত করেন মাহমুদ। রংপুর পিছিয়ে পড়ে ম্যাচের শুরুতে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও ব্রেন্ডন কিং এবং তিনে নামা সাকিব আল হাসানকে হারায় তারা। লম্বা সময় পর মাঠে ফিরে ব্যাট হাতে রাঙাতে পারেননি সাকিব। আউট হয়েছেন মাত্র দুই রানে।
বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হন আফগান ব্যাটার আজমতউল্লাহ ওমরজাইও। শ্রীলঙ্কান বাঁহাতি স্পিনার দুনিথ ভেল্লালাগের বলে তাঁর হাতেই ফিরতি ক্যাচ দেন আহজমতউল্লাহ। এরপর শামীম হোসেনকে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ডে ৩৪ রান যোগ করেন নুরুল হাসান সোহান।
কিন্তু ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়ে নুরুল ফেরেন ২৩ রান করে। মাঝে শামীম ৩৩ বলে ৩৪ রান করলেও দ্রুতই ফেরেন মোহাম্মদ নবি। তবু রংপুরের ইনিংস ভদস্থ চেহারা পেয়েছে মূলত শেখ মেহেদী হাসানের ছোট্ট ঝোড়ো ইনিংসের সৌজন্যে। ১৯ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় ২৯ রান করে খালেদ আহমেদের বলে আউট হয়েছেন শেখ মেহেদী। যদিও তাঁর এই ইনিংস রংপুরের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন