সারাবিশ্ব কোরিয়ান কে-পপ, নাটক বা সিনেমায় মাতোয়ারা থাকলেও উত্তর কোরিয়ায় তা নিষিদ্ধ। আইন ভঙ্গ করলেই পেতে হবে কঠোর শাস্তি। সম্প্রতি
একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে দুই কিশোরকে হাতকড়া পরাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার দুই ইউনির্ফমধারী কর্মকর্তা।
জনসম্মুখেই তাদের ১২ বছরের কঠোর পরিশ্রমের সাজা দেওয়া হচ্ছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ অ্যান্ড নর্থ ডেভেলপমেন্ট (স্যান্ড) ইনস্টিটিউট ভিডিওটি বিবিসিকে সরবরাহ করেছিল।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিওটি ২০২২ সালে ধারণ করা হয়ে থাকতে পারে। ভিডিওটি সবাইকে সতর্ক করার জন্য প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়ার সরকার।
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যান্ড এবং ডক্টর অফ পলিটিক্যাল সায়েন্স এর সভাপতি চয়ে কিয়ং-হুই। যিনি ২০০১ সালে উত্তর কোরিয়া ত্যাগ করেছিলেন। তিনি বলেন, “বিচারে কঠিন শাস্তি দেওয়া হতে পারে, উত্তর কোরিয়াজুড়ে লোকেদের সতর্ক করার জন্য।”
তিনি আরো বলেন, ‘ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের জন্য এখন সমস্যা হচ্ছে, তরুণরা এখন তাদের চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করেছে।
আমি মনে করি, এই শাস্তি তাদের উত্তরে ফিরিয়ে আনার কোরিয়ান উপায়।’ উত্তর কোরিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিনোদন উপভোগ করা বা দক্ষিণ কোরিয়ানরা যেভাবে কথা বলে, তা অনুকরণ করা অপরাধ।
উত্তর কোরিয়ার কর্তৃপক্ষের তৈরি করা ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি বড় ধরণের পাবলিক ট্রায়ালে দুই কিশোরের বিচার করা হচ্ছে। সেখানে ধূসর রঙের পোষাক পরা দুই ছাত্রকে হাতকড়া পরানো হচ্ছে। একটি আউটডোর স্টেডিয়ামে শতাধিক ছাত্রের সামনে তারে হাতকড়া পড়ানো হয়।
১৬ বছর বয়সী ওই দুইজনসহ সব ছাত্র তখন মাস্ক পরে ছিল। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ভিডিওটি কোভিড মহামারী চলাকালীন সময় ধারণ করা হয়েছিল। তিন মাস ধরে দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমা, মিউজিক এবং মিউজিক ভিডিও দেখা ও ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ওই ছাত্রদের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। এক বর্ণনাকারী বলেছেন, ‘তারা বিদেশী সংস্কৃতির দ্বারা প্রলুব্ধ হয়েছিল... এবং শেষ পর্যন্ত তাদের জীবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।’
এর আগে কোনো যুবক দক্ষিণ কোরিয়ার নাটক বা গান শুনতে গিয়ে ধরা পড়লে, যুব শ্রম শিবিরে পাঠানো হতো। তবে ২০২০ সালে উত্তর কোরিয়া নতুন আইন প্রণয়ন করে, যেখানে দক্ষিণ কোরীয় বিনোদন দেখা কঠোর অপরাধ এবং এর জন্য শাস্তি পেতে হবে। ওই ভিডিওতে কিছু নারীকেও হাতকড়া পরা অবস্থায় দেখা যায়।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন