গাজা উপত্যকায় ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত এক হাজার মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার ওয়াকফ এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই মসজিদগুলো পুনর্নির্মাণে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে।’
গাজা উপত্যকায় আনুমানিক এক হাজার ২০০টি মসজিদ রয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মতে, সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় শতাধিক ইমাম নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় একটি গির্জা, বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক ভবন ও মাদরাসা এবং একটি ব্যাংক সদর দপ্তর ধ্বংস হয়ে গেছে বলেও মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব কয়েক ডজন কবরস্থান ধ্বংস এবং কবর খনন অব্যাহত রেখেছে। এগুলোর পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে এবং লাশ চুরি করছে।
এটি আন্তর্জাতিক সনদ এবং মানবাধিকারের প্রতি স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ।
এ অভিযোগের বিষয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘আমরা আরব ও ইসলামিক দেশ এবং বিবেকবান মানুষদের গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’
৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামলা চালাচ্ছে।
তেল আবিব বলছে, হামাসের হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলি হামলায় ২৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। পাশাপাশি আহত হয়েছে আরো প্রায় সাড়ে ৬২ হাজার মানুষ।
এ ছাড়া জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলি হামলার ফলে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ অঞ্চলের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন