রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে কারসাজি করলে লাইসেন্স বাতিল

আগামী রমজানে যদি ভোগ্য পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করা হয়, তবে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

রবিবার (২১ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত রমজানের দ্রব্যমূল্য নিয়ে আন্ত মন্ত্রণালয়ের জরুরি সভা শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেছেন, রমজানের পণ্যের কোনো সংকট নেই। কেউ পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করলে তার ব্যবসার সব ধরনের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

 

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘যেভাবে দাম ধরে রাখা যায়, সেই কাজগুলোই সরকার করছে। দরকার হলে আমরা শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দিকে যাব, কাউকে ছাড় দেব না।’ এখনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘না।

এখনো হয়নি।’

 

চালের দাম বাড়ানোর পর সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। এরই মধ্যে দাম কমেছে। ব্যবসায়ীরা এখন ট্রাক নিয়ে ক্ষেত থেকে আলু তুলছে।

তাদের লাভ হচ্ছে।’

 

বাজারে মনোপলি হচ্ছে, সেখানে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অ্যাকশনে তো যাচ্ছি। জিনিসপত্রের দাম কত দিনের মধ্যে কমবে, এটা কখনোই বলা সম্ভব না। দরকার হলে আমদানি করতে হবে, এখনো তো এ রকম কিছু হয় নাই।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা এবং সহজলভ্য করা।

বিভিন্ন সময় কারসাজিতে কিছু কিছু জিনিসের ব্যত্যয় ঘটেছে, এমন যাতে আর না ঘটে সেই ব্যাপারে আমরা কী পদক্ষেপ নিতে পারি, তার আলোচনা হয়েছে।’ কিসের ভিত্তিতে আপনারা বলছেন রমজানের পণ্যের সংকট নেই—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সমস্ত পরিসংখ্যান আছে, কোনো কিছুতে শর্টেজ নেই।’ 

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘আমরা রমজানে যেসব পণ্য আমদানি করি, গত বছরের জানুয়ারির আগের সাত মাস আটটি প্রডাক্টের যত এলসি হয়েছিল, এবার তার চেয়ে ১০-১৫ শতাংশ বেশি এলসি হয়েছে। পণ্যগুলো সময়মতো দেশে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করছি। কোনো মধ্যস্বত্বভোগীরা সমস্যা না করলে দাম বাড়ার কোনো কারণে নেই। পণ্যের কোনো ঘাটতি হবে না।’

রিজার্ভ বাড়াতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এ প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যারা ডেভেলপমেন্ট পার্টনারস তাদের সঙ্গে মাল্টিকারেন্সি অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করছি। শুধু ডলার দিয়ে তো আমরা করছি না।’

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন