সিলেট মহানগরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ভয়ানক কাণ্ড ঘটিয়েছে আব্দুল মোতালেব ওরফে রবিউল চৌধুরী ওরফে মোত্তালিব নামক এক প্রতারক। ফার্নিচারসহ বাসা ভাড়া নিয়ে চার মাস অবস্থান করে ভাড়া না দিয়ে উল্টো ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে পরিবারসহ পালিয়ে গেছেন তিনি।
এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকার সামাল হাসান (গঙ্গানগর) গ্রামের মৃত মো. আব্দুল হকের ছেলে আব্দুর রব পাপ্পু।
অভিযুক্ত আব্দুল মোতালেব সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মুক্তিকলা গ্রামের মৃত জাবেদ আলী চৌধুরীর ছেলে।
জানা গেছে, মোতালেবের বিরুদ্ধে ঢাকায় তিনটি মামলা রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি একটি টেলিভিশনে প্রচারিত একটি সংবাদে উল্লেখ করা হয়, মোতালেব চাকরির প্রলোভন ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পাইয়ে দেয়ার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত অভিযোগপত্রে উল্লেখ, সিলেট মহানগরের ঝেরঝেরিপাড়াস্থ এভারগ্রিন আবাসিক এলাকার ৩৭ নং বাসাটি দেখাশোনা করেন আব্দুর রব পাপ্পু। বাসার মালিক তার তালতো বোনের জামাই। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বাসাটির ২য় তলার এফ ফ্ল্যাটটি সেপ্টেম্বর ফার্ণিচারসহ ভাড়া নেন আব্দুল মোতালেব। এ সময় চুক্তিপত্র সম্পাদনকালে তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এন.আই.ডি) চাইলে পাপ্পুকে তিনি গণপূর্ত বিভাগের একজন ঠিকাদার পরিচয় দিয়ে এন.আই.ডি পরে দিবেন বলে জানান। তবে একমাসের ভাড়া বাবদ পাপ্পুকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন তিনি।
এরপর আব্দুর রব পাপ্পুর সাথে সম্পর্ক খানিকটা গভীর হয় মোতালেবের। একপর্যায়ে পাপ্পু ও তার এক আত্মীয় ওমরাহ পালনে যাবেন শুনে মোতালেব ঢাকায় তার পরিচিত ট্র্যাভেল এজেন্সির মাধ্যমে কম টাকায় সৌদি পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেন এবং ৭০ হাজার টাকা ও দুজনের পাসপোর্ট নিয়ে নেন। কিন্তু পাপ্পু ও তার স্বজনকে ওমরাহে পাঠানো তো দূরের কথা- তাদের দুজনের পাসপোর্ট, তিন মাসের ভাড়া দেড় লাখ ও নগদ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে ওই বাসা থেকে ১০ জানুয়ারি স্বপরিবারে পালিয়ে যান মোতালেব। ঘটনার পর থেকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নাম্বারও ব্ন্ধ পান পাপ্পু। পরে সিলেট কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন শিপন জানান- অভিযোগ দাখিলের পর তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্ত ও তার পরিবারকে খুঁজছে পুলিশ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন