চীনের ইউনান প্রদেশে ভূমিধসে নিহত হয়েছে অন্তত ১১ জন। উদ্ধারকারীরা নিখোঁজদের খুঁজে বের করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল সোমবার (২২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৫১ মিনিটে ইউনান প্রদেশের ঝাওটং শহরে এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে এবং ৪৭ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং যত দ্রুত সম্ভব নিখোঁজদের উদ্ধার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে, একটি খাড়া পাহাড় ধসে পড়ায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। শহর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ধসে পড়া অংশ প্রায় ১০০ মিটার (৩২৮ ফুট) প্রস্থ, ৬০ মিটার উঁচু । ৫০০ জনেরও বেশি লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং প্রায় এক হাজার উদ্ধারকর্মীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে ফায়ার ফাইটার লি শেংলং বলেন, ‘রাতভর তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত ছিল।’ স্থানীয় এক ব্যক্তি গণমাধ্যমকে বলেছেন, অধিকাংশ বাসিন্দাই হয় বৃদ্ধ বা শিশু।ইউনান প্রদেশের লিয়াংশুই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা জিমু নিউজকে জানান, ‘ভূমিধসের ঘটনা ঘটে যখন তারা ঘুমিয়ে ছিলেন। খুব জোরে একটি ঝাঁকুনি দিয়েছিল এবং বড় ভূমিকম্পের মতো অনুভূত হয়েছিল।
’ স্থানীয় গণমাধ্যমের ভিডিওতে দেখা গেছে, উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া ভবনগুলোর মধ্যে কাজ করছেন। এ ছাড়া ভিডিওগুলোতে আরো দেখা যায়, উদ্ধারকারীরা তুষার আচ্ছাদিত উঁচু পাহাড়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে হাঁটছে এবং জিনিসপত্র চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি জানিয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তিরা ১৮টি পরিবারের সদস্য।
দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল ভূমিধসের ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে একই অঞ্চলে ভূমিধসে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছিল।
এদিকে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় প্রায় রাত ২টায় চীনের জিনজিয়াংয়ের উশিতে ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি জানিয়েছে, এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন