দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনও অধরা রয়েছেন ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপু।
আরিফ নগরীর টিভি গেইট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, হিরণ মাহমুদ নিপু পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে প্রধান আসামী নিপুসহ এই মামলায় আরও ৬ আসামীর মধ্যে এখনও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে। গত মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বালুচর পয়েন্টে মানববন্ধন কর্মসূচির পালিত হয়েছে। মানবন্ধনে স্বজনদের দাবি- নিপুসহ পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। একই সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলার চার্জশিট প্রদান করে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরীর বালুচরস্থ টিভি গেইট এলাকায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন আরিফ। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত দেড়টার দিকে মারা যান আরিফ।
পরে ২২ নভেম্বর নিহতের মা আঁখি বেগম বাদী হয়ে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় হিরন মাহমুদ নিপুসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৫ জনকে।
এদিকে গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ হিরন মাহমুদ নিপুকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। কিন্তু নিপুকে আত্মসমর্পণ না করে পলাতক রয়েছেন। এমন অবস্থায় হন্য হয়ে তাকে খুঁজছে পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সিলেটভিউকে বলেন, কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপু পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেটের শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ সিলেটভিউকে বলেন, এলাকাবাসী ও স্বজনরা মানববন্ধন করেছেন বলে শুনেছি। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আমরা কাজ করছি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন