চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রত্যন্ত ও পাহাড়ি অংশে আঘাত হানা ভূমিধসের ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে মঙ্গলবার ৩১ জনে পৌঁছেছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে ইউনান প্রদেশের জেনসিয়ং কাউন্টিতে ভূমিধস আঘাত হানলে ১৮টি বাড়ি চাপা পড়ে এবং ২০০ জনেরও বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া মঙ্গলবার জানায়, বিপর্যয়ের প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর ৩১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে বিকেলে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভির একটি প্রতিবেদন মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি সেই সময়ে ২৪ জন নিখোঁজ থাকার কথাও বলেছিল গণমাধ্যমটি।
অগ্নিনির্বাপককর্মী লি শেংলং সিনহুয়াকে বলেছেন, ‘অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান রাত পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।’
দুর্ঘটনাস্থলে দুই শতাধিক উদ্ধারকর্মীর পাশাপাশি দমকলের কয়েক ডজন ইঞ্জিন ও অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।
সিনহুয়া জানিয়েছে, জায়গাটি ঘন তুষারে ঢাকা ছিল এবং উদ্ধারকারীরা ‘জীবিতদের সন্ধানের জন্য সব ধরনের সরঞ্জাম ব্যবহার করছেন’।
এ ছাড়া আশপাশের এলাকার লোকজন ত্রাণ তৎপরতায় সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে বলেও রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমটি জানিয়েছে। কাছাকাছি একটি গ্রামের ৩৮ বছর বয়সী বাসিন্দা হং জি সিনহুয়াকে বলেছেন, ‘আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ত্রাণ বিতরণ, রান্না করা এবং অভাবীদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া।’
এর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং সোমবার ‘সর্বস্ব’ দিয়ে উদ্ধার প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন।
এএফপি বলেছে, চীনের একটি সুদূরপ্রসারী ও বৃহত্তর দরিদ্র অঞ্চল ইউনানে ভূমিধস সাধারণ ঘটনা। সেখানে হিমালয় মালভূমির বিপরীতে খাড়া পর্বতমালা রয়েছে। চীন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছে। গুয়াংজির দক্ষিণাঞ্চলে গত সেপ্টেম্বরে বৃষ্টি ঝড়ের কারণে একটি পাহাড়ি ভূমিধসে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে। আগস্টে প্রবল বৃষ্টি উত্তরাঞ্চলীয় শহর জিয়ানের কাছে একই ধরনের বিপর্যয়ের জন্ম দেয়, যাতে ২০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন