বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার রায় ঘোষণা থেকে পিছিয়ে আদালত ফের যুক্তিতর্ক নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। রায় প্রস্তুত না হওয়ার কারণ দেখিয়ে এর আগে তিন দফা রায় ঘোষণার তারিখ পেছানো হয়। গত ২৮ ডিসেম্বরের আদেশ অনুযায়ী আজ বুধবার এ মামলায় রয় ঘোষণার কথা ছিল।
কিন্তু গতকাল সোমবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ মঞ্জুরুল ইমাম অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনবেন বলে সিদ্ধান্ত দেন।
আদেশে বিচারক বলেন, ‘মামলাটিতে ঘটনাগত এবং তথ্যগত বিষয়সহ জটিল আইনগত বিষয় জড়িত রয়েছে। এ বিষয়ে উভয় পক্ষের অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানি হওয়া আবশ্যক মর্মে আদালত মনে করে। এ জন্য মামলাটি রায় প্রচারের তালিকা থেকে উত্তোলনপূর্বক অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানির সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো। আগামী ২৪ জানুয়ারি অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হলো।
’
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিচারক উভয় পক্ষের অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনবেন। ফলে আজ রায় ঘোষণা হচ্ছে না। এ যুক্তিতর্ক শেষ হলে রায় ঘোষণার জন্য নতুন তারিখ দিতে পারেন।’
আয়ের সঙ্গে ‘অসংগতিপূর্ণ’ সাত কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদের মালিক হওয়া এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ অগাস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম ঢাকার রমনা থানায় এ মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেখানে আব্বাসের বিরুদ্ধে চার কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। এ মামলায় গত বছর ৩১ অক্টোবর মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর শাহজাহানপুর থানার একটি নাশকতার মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই মামলায় রিমান্ডের পর দুদকের এ মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাঁকে।
এ সাক্ষ্য গ্রহণের পর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে। চূড়ান্ত যুক্তিতর্কের পর ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ মঞ্জুরুল ইমাম গত বছর ২২ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য ৩০ নভেম্বর তারিখ দেন। এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর রাখেন। একই কারণ উল্লেখ করে বিচারক ওই দিনও রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ২৮ ডিসেম্বর রাখা হয়। ওই দিনও একই কারণে রায় না দিয়ে ২৪ জানুয়ারি ঘোষণার তারিখ দিয়েছিলেন।
আদালতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম, মহিউদ্দিন চৌধুরী ও শাহীনূর ইসলাম।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন