ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস আজ বুধবার। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এতে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মতিউরসহ অন্য শহীদদের রক্ত বৃথা যায়নি। গণ-অভ্যুত্থানের ফলে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারসহ রাজবন্দিদের মুক্তি এবং প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ক্ষমতা হস্তান্তর ছিল বাঙালির মুক্তি আন্দোলনে একটি মাইলফলক।
গণ-অভ্যুত্থানের পথ ধরেই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাত্পর্যপূর্ণ অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তি সনদ ছয় দফা, পরবর্তী সময়ে ১১ দফা ও ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি মহান স্বাধীনতা। পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
’
তবে ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া সেই ঘটনার ৫৪ বছর পরও গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে তেমন কাজ হয়নি। শহীদ ও নিহতদের নেই কোনো রাষ্ট্রীয় হিসাব। শহীদদের স্মরণে নেই কোনো কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভও। সরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে গবেষণার প্রকট ঘাটতি চোখে পড়ার মতো।
এমন প্রেক্ষাপটে আজ পালিত হচ্ছে গণ-অভ্যুত্থান দিবস।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক মেসবাহ কামাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় আমাদের দেশের রাজনৈতিক ডিসকোর্স ও ইতিহাসচর্চায় এটা যথেষ্ট গুরুত্ব পায়নি। ঊনসত্তরের শহীদদের স্মরণে একটি জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ হওয়া দরকার।’
লেখক, গবেষক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, ‘এই প্রশ্ন (গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা ও কাজ না হওয়া) ওঠাটা খুবই সংগত। আমাদের গবেষণায় অনেক অচিহ্নিত ও অজানা জায়গা রয়ে গেছে।
আমাদের গবেষণায় মনোযোগী হতে হবে। এখন গবেষণাটা কিন্তু নতুন প্রজন্মকে করতে হবে।’
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এর আগে কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, ‘ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের কোনো রাষ্ট্রীয় হিসাব আছে বলে আমার জানা নেই। তাঁদের নাম ও স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ অবশ্যই নেওয়া উচিত। এটা রাষ্ট্রের দীনতা যদি তার ইতিহাস সে সংরক্ষণ না করে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন