সিলেটের উইকেট রানের জন্য স্বাগত জানিয়েছে ব্যাটারদের। এই উইকেটের ফায়দা ভালোভাবে তোলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটাররা। আভিষ্কা ফার্নান্দোর ৫০ বলে ৯১ ও কার্টিস ক্যাম্ফারের ৯ বলে ২৯ রানের ঝড়ে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ করে চট্টগ্রাম। তবে একই উইকেটের সুবিধা আদায় করতে পারেননি ফরচুন বরিশালের ব্যাটাররা।
তাদের ইনিংস থামে ১৮৩ রানে। ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালানো ক্যাম্ফার বোলিংয়ে নেন ৪ উইকেট।
চার ম্যাচে এটি তৃতীয় জয় চট্টগ্রামের। উল্টো অবস্থা বরিশালের।
সমান চার ম্যাচে তৃতীয় হারের স্বাদ পেলেন তামিম ইকবালরা। সিলেটে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রামের ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। তাইজুল ইসলামের করা প্রথম ওভারে তানজিদ হাসানের উইকেট হারায় দলটি। ৫ বলে ১২ রান করেন তানজিদ।
পরের ওভারে তাইজুল তুলে নেন ইমরান উজ্জামানকে। ৮ বলে ৪ রান করা এই ব্যাটারকে বোল্ড করে বিদায় করেন তাইজুল।
এরপর আভিষ্কা ফার্নান্দো ও শাহাদাত হোসেন দিপুর ব্যাটে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম। দুজনে মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি। এই জুটি ভাঙেন ইয়ানিক ক্যারিয়াহ।
শাহাদাতকে বোল্ড করেন তিনি। ফেরার আগে ২৯ বলে ৩১ রান করেন শাহাদাত। তবে হাফ সেঞ্চুরি করেন আভিস্কা। ফিফটির পর আরো আগ্রাসী হয়ে যান এই শ্রীলঙ্কান। যদিও ৩০ রানে একবার জীবন পেয়েছিলেন তিনি।
শেষদিকে আভিষ্কার সঙ্গে ঝড় তোলেন ক্যাম্ফার। তাদের ১১ বলে ৩৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে ১৯৩ করে চট্টগ্রাম। এই বিপিএলে এটাই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ৫০ বলে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন আভিস্কা। ক্যাম্ফার করেন ৯ বলে ২৯। রান তাড়ায় এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন আহমেদ শেহজাদ। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ৫ ওভারে ৫০ রান তোলে বরিশাল। ষষ্ঠ ওভারে ফিরে যান তিনি। তামিমের সাথে ৫৫ রানের জুটি গড়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাম্ফারকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন এই পাকিস্তানি ব্যাটার।
সেই ক্যাম্ফার পরে ধসিয়ে দেন চট্টগ্রামের ব্যাটিং বিভাগ। একে একে ফেরান তামিম ইকবাল (৩৩), সৌম্য সরকার (১৭), মাহমুদ উল্লাহ (৩) ও ইয়ানিক ক্যারিয়াহকে (৪)। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ (১৬ বলে ৩৫) ও মুশফিকুর রহিম (২২ বলে ২৩) চেষ্টা চালালেও প্রয়োজন মেটাতে পারেননি। ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ তোলে বরিশাল।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন