‘স্প্যানিশ’ এনসুয়ে মাতাচ্ছেন আফ্রিকা

তাঁর নামের পাশে দুটো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ আছে। ২০০৭ সালে স্পেনের হয়ে অনুর্ধ্ব-১৯ ও ২০১১ তে একই জার্সিতে জিতেছিলেন অনুর্ধ্ব-২১ ইউরো। স্পেনের প্রতিটা বয়সভিত্তিক দলেই খেলেছেন। কিন্তু মূল দল বাছতে গিয়ে এমিলিও এনসুয়ে সাড়া দিয়েছেন পিতৃভূমির ডাকে।

অখ্যাত ইকুয়েটরিয়াল গিনির জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন। সেই এনসুয়েই মাতাচ্ছেন এবার আফ্রিকান নেশন্স কাপ।

 

ভিক্টর ওসিমেন, মোহামেদ সালাহ কিংবা সাদিও মানে নয়, এনসুয়েই এই মুহূর্তে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার জায়গাটি দখলে নিয়েছেন। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে ৫ গোল তাঁর।

ওসিমেন, সালাহ, মানে কেউই একটির বেশ গোল করতে পারেননি। এনসুযে হ্যাটট্রিক করেছেন গিনি বিসাওয়ের বিপক্ষে। আইভরি কোস্টের বিপক্ষে জোড়া গোল। সেই ম্যাচ ৪-০ গোলে জিতে ইকুয়েটরিয়াল গিনিই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিয়েছে স্বাগতিক আইভরিয়ানদের।

গ্রুপের শীর্ষৈ থেকেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে এনসুয়ের দল।

 

আজ থেকেই শুরু হচ্ছে নকআউটের সেই লড়াই। গিনির বিপক্ষে লড়বে ইকুয়েটরিয়াল গিনি। এনসুয়ে গোল স্কোরিংয়র এই ফর্মটা ধরে রাখতে পারলে এক আসরে এনদিয়ে মুলাম্বার সর্বোচ্চ ৯ গোলের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারবেন। এনসুয়ে বলেছেন, ‘আমার লক্ষ্য তাই।

 

আফ্রিকায় কখনো বড় দল ছিল না ইকুয়েটরিয়াল গিনি। আফ্রিকান র‌্যাংকিংয়েই তারা ১৮ তম। তবে ২০১২ ও ২০১৫ দুবার নেশন্স কাপের স্বাগতিক হয়েছে তারা। দ্বিতীয়বার সেমিফাইনালেও খেলেছে। এবার এনসুয়েকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখতেই পারে তারা। ২০১১- এর ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই ইকুয়েটরিয়াল গিনি তাঁর কাছে প্রস্তাব নিয়ে আসে জাতীয় দলে খেলার। এনসুয়ে বলছিলেন, ‘তাদের সেই ডাক আমি ফেরাতে পারিনি। ওরা বলছিল ,‘তুমি এসো, তোমাকে আমরা অধিনায়ক বানাবো। তুমিই আমাদের ভবিষ্যৎ’। সেই পথেই হেঁটেছেন। মায়োর্কায় তাঁর বেড়ে ওঠে। সেখান থেকে স্যামুয়েল ইতোকে দেখেছেন কিভাবে ক্যামেরুনের সবচেয়ে বড় তারকা হয়ে উঠেছেন। আফ্রিকান নেশন্স কাপে সেই এনসুয়ের সামনে এবার সুযোগ পুরো আফ্রিকার সামনে নিজেকে আবার তুলে ধরা।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন