৪৯ বছর পর বোমা হামলার আসামির সন্ধান

সাতোশি কিরিশিমার হাস্যোজ্জ্বল মুখের পোস্টার পুলিশ স্টেশনের বাইরে ঝুলেছে বছরের পর বছর ধরে। ৪৯ বছর পলাতক থাকার পর কর্তৃপক্ষ মনে করছে, তারা অবশেষে সাতোশি কিরিশিমাকে খুঁজে পেয়েছে। টোকিওর কাছে একটি হাসপাতালের একজন রোগী দাবি করেছেন, তিনিই কিরিশিমা। ১৯৭০-এর দশকে বেশ কয়েকটি মারাত্মক বোমা হামলার পেছনে থাকা এক ‘জঙ্গিগোষ্ঠীর’ সদস্য ছিলেন তিনি।

 

টোকিওর দক্ষিণে কানাগাওয়ার কামাকুরা শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তির সময় ভিন্ন নাম ব্যবহার করেছিলেন ওই নারী। তবে তিনি বৃহস্পতিবার হাসপাতালের কর্মকর্তাদের বলেন, তিনিই আসলে কিরিশিমা এবং চূড়ান্ত মুহূর্তেই তিনি তাঁর নাম বলতে চেয়েছিলেন। কারণ তিনি মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিবেদন অনুসারে আর মাত্র কয়েক মাস বাঁচতে পারবেন তিনি।

 

 

জাপানের কর্তৃপক্ষ মনে করছে, তারা সত্তরের দশকের সেই হামলাকারীর খোঁজ পেয়ে গেছেন। তিনিই কিরিশিমা কি না, তা জানার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। বিবিসি জানিয়েছে, সম্প্রতি টোকিওর কাছে একটি হাসপাতালে এক রোগী ভর্তি হন। ভর্তির সময় অন্য নাম দিলেও ওই ব্যক্তি নিজের নাম পরে কিরিশিমা বলে দাবি করেন।

তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভিন্ন নামে ভর্তি ছিলেন।

 

সাতোশি কিরিশিমা ছিলেন চরমপন্থী দল ‘ইস্ট এশিয়া অ্যান্টি-জাপান আর্মড ফ্রন্টের’ সদস্য। রাজধানী টোকিরও বিভিন্ন কম্পানিতে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে প্রাণঘাতী বোমা হামলার সঙ্গে বামপন্থী এ দলটির সংশ্লিষ্টতা পায় পুলিশ। ১৯৭৪ সালে মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজের সদর দপ্তরেও হামলা চালানো হয়। এতে আটজনের মৃত্যু হয়।

 

জাপানের ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সি তার ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, কিরিশিমা ‘বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণের অপরাধমূলক বিধি’ লঙ্ঘন করেছেন এবং বোমা হামলার জন্য তাকে ওয়ান্টেড করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম অনুসারে, ১৮ এপ্রিল ১৯৭৫ সালেও টোকিওর গিঞ্জা জেলার একটি ভবনে হামলা চালিয়েছিল। ৪৯ বছর পর কিরিশিমার বয়স এখন ৭০ হওয়ার কথা, অবশেষে তাঁর খোঁজ পাওয়া গেল।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন