নতুন শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রণীত পাঠ্যবইয়ে থাকা ভুলভ্রান্তি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মতামত যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষণ করে দ্রুত তা সংশোধনের আশ্বাস জানানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার এনসিটিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এনসিটিবির প্রণীত ২০২৪ সালের পাঠ্যবইয়ের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা ও গভীর পর্যবেক্ষণে যে সব বিষয় উঠে এসেছে তা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি।
বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের সময় আমরা সবার প্রতি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে কোনো পরামর্শ থাকলে তা জানানোর অনুরোধ জানিয়েছিলাম। অনেকেই সেখানে তাৎপর্যপূর্ণ ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন। এসব মতামত আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করে বিদ্যমান পাঠ্যপুস্তক যৌক্তিভাবে মূল্যায়নপূর্বক সংশোধনী করা হবে। এবং দ্রুতই তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমে পাঠানো হবে।
যারা আমাদের নানা তথ্য, উপাত্ত, যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং সঠিক উপস্থাপনার মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়নে সহায়তা করেছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে শরীফার গল্পসহ পুরো বই পর্যালোচনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির পর্যালোচনা কাজ চলছে। এ ছাড়াও বছরের প্রথম দিন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমরা পাঠ্যবই নিয়ে মতামত চেয়েছিলাম।
তার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মতামত দিয়েছেন। এই মতামতগুলো বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে পাঠানো হবে। যৌক্তিক বিষয়গুলো পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এবং দ্রুত তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। শিক্ষামন্ত্রী জনগণের মতামতের ওপর শ্রদ্ধাশীল।
শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং এনসিটিবি দ্রুত এসব কাজ বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন