মেহেদী আফনান (২৩) ও আশফাকুজ্জামান জিসান (২২) পরষ্পর ঘনিষ্ট বন্ধু। দুজন দুই জেলার বাসিন্দা হলেও একসঙ্গে ছিলো একাডেমিক পড়াশোনা। পাশাপাশি স্বপ্নের ইউরোপে যেতে দুজনেই পড়ছিলেন আইইএলটিএস (ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম)।
দুজনই পরীক্ষা দিয়ে পেয়েছেন ৭ পয়েন্ট। তবে শেষ পর্যন্ত দুই বন্ধুরই সব স্বপ্নের সমাধি হয়েছে সিলেটের এয়ারপোর্ট সড়কে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এয়ারপোর্ট সড়কের মালনীছড়া চা-বাগান এলাকায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মেহেদী আফনান ও আশফাকুজ্জামান জিসানের। তারা দুজই মোটরসাইকেলে ছিলেন।
মেহেদী মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বড়মচাল গ্রামের সৌদিআরব প্রবাসী আব্দুল লতিফের ছেলে এবং জিসান হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভায় বড়াইল গ্রামের ফিরোজ আহমেদের ছেলে।
নিহত দুজনের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেহেদী ও জিসান সিলেট মদনমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার জন্য সম্প্রতি আইইএলটিএস পরীক্ষা দিয়ে ৭ পয়েন্টে পেয়েছেন। ইতোমধ্যে তারা ইউরোপ যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন।
জানা গেছে, বুধবার বিকাল সাড়ে পাচঁটার দিকে মহানগরীর বিমানবন্দর সড়কের মালনীছড়া চা-বাগান এলাকায় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা মাইক্রো-বাসের সঙ্গে মেহদীর মোটরসাইকেলটি ধাক্কা খেলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আশফাকুজ্জামাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
তাদের এই করুণ মুত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে উভয়ের পরিবার। তাদের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া বলেন, লাশ দুটি ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন