সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক ফয়েজ উদ্দিন (২০) হত্যার ঘটনায় পৃথক অভিযানে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে বেরিয়ে এসেছে হত্যার রহস্য।
পুলিশ জানিয়েছে, ফয়েজ উদ্দিনের রিকশা চুরি করে তাকে হত্যা করে নদীর পাড়ে লাশ ফেলে দেওয়া। গত ১৭ জানুয়ারি সিলেট মহানগরের মেন্দিবাগ এলাকায় সুরমা নদীর পাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
খুন হওয়া ফয়েজ উদ্দিন সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাগ গ্রামের মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি সিলেট মহানগরের সোবহানীঘাট এলাকার একটি কলোনিতে ভাড়া থাকতেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার পুলিশ সুপার (সুপারনিউমারারি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান- ফয়েজের রহস্য উদঘাটনে এবং হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার অভিযানে কোতোয়ালি থানার একটি টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এবং বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে শাহজালাল উপশহর ও তেররতন এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার শ্যামপুর গ্রামর আবুল কালামের ছেলে আল আমিন (৩২) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার খাগালিয়া গ্রামের মাহফুজ আহমদের ছেলে তোফাজ্জল মিয়া (৩০)।
পরবর্তীতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এবং বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানাধীন কসকনপুর এলাকা হতে ওই উপজেলার হাতিডহর গ্রামের মো আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে মো. আব্দুল হামিদকে (৩৬) গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ তিনজনকে গ্রেফতারের পর আদালতের প্রেরণ করে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মো. ফজর আলী (৫২) নামের মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফজর আলী সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানার কেজাউড়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। পরে তার বাসা থেকে ফয়েজের রিকশাটি এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি সিলেট মহানগরের মেন্দিবাগ এলাকার সুরমা নদীর পাড় থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ফজর আলীকে গ্রেফতারের পর তিনি ও আসামি আব্দুল হামিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন