মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০২৩ এবার চ্যাম্পিয়ন হলেন ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার নীলা

অনেকটা নীরবেই হয়ে গেল ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০২৩’-এর আয়োজন। গত ২৮ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের মানা বে ওয়াটার পার্কে বসেছিল এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসর। সেখানে ২০ প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে পাঁচ বিচারক নির্বাচন করেন এবারের ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০২৩’-কে। তাঁদের বিচারের এবারের আয়োজনে বিজয়ী হয়েছেন ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার, মডেল ও টিকটকার শাম্মি ইসলাম নীলা।

প্রথম রানার-আপ হয়েছেন আকলিমা আতিকা কণিকা ও দ্বিতীয় রানার-আপ শাকিরা তামান্না।

 

করোনার কারণে প্রায় তিন বছর বিরতির পর নতুন করে শুরু হয় এই আয়োজন। বিজয়ী নীলা বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন মিস ওয়ার্ল্ডের ৭১তম আসরে। এবারের মূল আয়োজনটি হবে পাশের দেশ ভারতে।

এই আসরে যোগ দিতে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি যাবেন নীলাসহ বিভিন্ন দেশের বিজয়ী সুন্দরীরা। আগামী ৯ মার্চ ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ‘মিস ওয়ার্ল্ড-২০২৩’ প্রতিযোগিতা।

 

1

দুই পাশে দুই রানার-আপ, মাঝে নীলা

জানা যায়, মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন শাম্মি ইসলাম নীলার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ঢাকায়। দুই ভাই-বোনের মধ্যে ২৩ বছর বয়সী নীলা বড়।

রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে পড়াশোনা করছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই তাঁর ইচ্ছা ছিল ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার। তিন বছর ধরে মডেলিং করছেন নীলা। ফ্যাশন আর বিউটি নিয়ে কয়েকটি বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের সঙ্গে ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে নিয়মিত কাজ করছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ফলোয়ারও কম নয়।

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম আর টিকটক—তিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই জনপ্রিয় নীলা। বিশেষ করে টিকটকে তাঁর কয়েকটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুকে তাঁর ৫৬ হাজার অনুসারী। ইনস্টাগ্রামে তা ছাড়িয়ে গেছে এক লাখ ১০ হাজার। যদিও নীলার মাথায় মুকুট ওঠায় অনেকে সমালোচনাও করছেন। অনেকে বলছেন, এখন থেকে কি টিকটকাররা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে? তবে নিজের কাজ ও যোগ্যতা দিয়ে সেসব কথার জবাব দিতে চান নীলা। গণমাধ্যকে জানিয়েছেন, তিনি ভবিষ্যতে মডেলিং ও অভিনয় করতে চান। পাশাপাশি প্রাণীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করবেন তিনি।

 

এদিকে আয়োজক প্রতিষ্ঠান এরিস্টক্রাট ইভেন্টসের ডিরেক্টর রাকিবুল হাসান কালের কণ্ঠকে জানান, এবারের আসরের জন্য গত বছরের সেপ্টম্বর থেকে প্রতিযোগিরা রেজিস্ট্রেশন শুরু করেন। প্রায় তিন হাজার প্রতিযোগী নাম লেখান এই প্রতিযোগিতায়। সেখান থেকে ৫০০ প্রতিযোগীকে বাছাই করা হয়। দ্বিতীয় দফা বাছাইয়ে বাদ পড়েন আরো ২০০ জন প্রতিযোগী। তাঁদের ঢাকায় এনে অডিশন নেওয়া হয়। পরে ৩০০ থেকে বাছাই করা ২০ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে মানা বে-তে শুরু হয় ক্যাম্প। তার পরই ২৮ জানুয়ারি বসে গ্র্যান্ড ফিনালের আসর।

এবারের গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য অভিনেতা আফজাল হোসেন, অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ, বিউটি এক্সপার্ট কানিজ আলমাস খান, পরিচালক রায়হান রাফি ও ফটোগ্রাফার রফিকুল ইসলাম রাফ।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন