সিলেটের চাঁদাবাজির আলোচনা জাতীয় সংসদে!

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাতীয় সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, তাঁর নির্বাচনী এলাকা সিলেটে কতিপয় সন্ত্রাসী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে। চাঁদাবাজদের অত্যাচারে ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। তিনি এই চাঁদাবাজি বন্ধ এবং চাঁদাবাজির মাধ্যমে আদায় করা টাকা বাজেয়াপ্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

 

 

 

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে ‘জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ’ নোটিশের আলোচনায় এ কে আব্দুল মোমেন এই আহ্বান জানান।

 

সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ৭১ ধারায় আনা নোটিশের মধ্যে যেগুলো গ্রহণ করা সম্ভব হয় না, সেগুলো নিয়ে দুই মিনিট করে আলোচনার সুযোগ পান সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যরা।

 

 

আব্দুল মোমেন বলেন, সিলেটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা তাঁর কাছে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী প্রতি রাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী যেমন শাকসবজি, চিনি ইত্যাদি পরিবহনে আসা ট্রাকগুলোর প্রতিটি থেকে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা জোর করে নেয়। চাঁদা না দিলে ট্রাক ছিনতাই করে।

 

 

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পর দুই–এক দিনের জন্য সন্ত্রাসী তৎপরতা কিছুটা কমেছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা আবার শুরু হয়। এই চাঁদাবাজদের অত্যাচারে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি এই চাঁদাবাজি বন্ধ এবং সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজির মাধ্যমে যে টাকা সংগ্রহ করেছে, তা বাজেয়াপ্ত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

 

উল্লেখ্য,  চাঁদাবাজি দ্রুত বন্ধ করে এর সাথে সম্পৃক্ত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এ্যাকশন নিতে সিলেটের ব্যবসায়ীরা গত বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার, সিলেটের জেলা প্রশাসক ও সিলেটের পুলিশ সুপারের নিকট পৃথক স্মারকলিপি দেন। স্মারকলিপিতে ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজির বর্ণনা দিয়ে বলেন, কালিঘাটে পিয়াজ ভর্তি ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি করা হয়। জৈন্তাপুর থেকে সবজি ভর্তি ট্রাকটি সিলেট নগরে প্রবেশের পর সেটিও লুট করে নেয়া হয়। সোবহানিঘাট সবজির পাইকারি আড়তে আসা সবজি ভর্তি ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি করা হয়। চাহিদা মাফিক চাঁদা দেয়া না হলে সবজি লুট করে নেয়া হয়। কখনো ট্রাক নিয়ে যায় আবার কখনো নিয়ে যায় টাটকা সবজি। মাসের পর মাস ধরে এভাবে চাঁদাবাজি চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

 

 

চাঁদাবাজি বন্ধে ৭ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, এই সময় চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে সিলেটের ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নামবেন। পাশাপাশি সিলেট বন্ধ করে দেয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন