শেষ পর্যন্ত যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতকে। টাইব্রেকার শেষে টস-নাটকীয়তার প্রায় দুই ঘণ্টা পর এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন। তাতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা যৌথভাবে ঘরে তুলেছে বাংলাদেশ-ভারত।
মাঠের লড়াই, উত্তেজনা, টাইব্রেকার রোমাঞ্চের পর টস বিতর্ক।
কী ছিল না অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে! ভারত দলের মাঠ ছেড়ে যাওয়া আর বাংলাদেশের মেয়েদের মাঠেই অবস্থান করা। এর সবই হয়েছে ফাইনাল ম্যাচের শ্রীলঙ্কান ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভা জয়সুরিয়ার এক মহা ‘ভুলে’। এই লঙ্কানের ভুলেই সাডেন ডেথ ১১-১১ সমতায় থাকার পর বাইলজের নিয়ম না মেনে কয়েন টসে নির্ধারণ করা হয় চ্যাম্পিয়ন।
টস জিতে শিরোপা উৎসব শুরু করে দিয়েছিল ভারতের মেয়েরা।
কিন্তু আদৌ ম্যাচ কমিশনার যে ভুল ছিলেন তার প্রমাণ মেলে কিছুক্ষণের মধ্যেই। বাংলাদেশের ফুটবলাররা ও কোচিংস্টাফ ম্যাচ কমিশনারকে ঘিরে আপত্তি জানাতে থাকে। প্রবল চাপে ম্যাচ অ্যাসোসর তৈয়ব আলীর সঙ্গে আলোচনা করে নিজের ‘ভুল’ অনুধাবন করতে পেরে একটু পরই ভারত দলকে সাডেন ডেথ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন ডি সিলভা জয়সুরিয়া। কিন্তু এই অনুরোধ মানেনি ভারত দল।
মাঠ ছেড়ে চলে যায় তারা। এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর অপেক্ষার প্রহর শেষে আসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা নিয়ে শীতের মধ্যেই মাঠে বসে থাকে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা। রাত ১০টা ১৮ মিনিটে বাংলাদেশের কয়েকজন খেলোয়াড় মাঠ ছাড়েন। একটু পর মাঠ ছাড়েন স্বর্ণা, ইতিরা।
১০টা ২০ মিনিটে মঞ্চ সাজানো শুরু হয়। বাফুফের মিডিয়া বিভাগ থেকে প্রেসবক্সে বার্তা পাঠানো হয়, মঞ্চেই শিরোপা জয়ী দলের নাম ঘোষণা করা হবে। বাংলাদেশের মেয়েদেরকে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। হাসিমুখে ক্যামেরাবন্দি হতে থাকেন তারা।
সমাপণী অনুষ্ঠানের মঞ্চে আসেনি ভারতের পুরো দল। উপস্থিত ছিলেন দলটির অধিনায়ক নিতু লিণ্ডা। রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আসেন ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। এ ছাড়া সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল, বাফুফের নারী ফুটবলের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণসহ অনেকে। দুই দলের অধিনায়কের হাতে শিরোপা তুলে দেন নাজমুল হাসান।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন