পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেছেন, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ও তাঁদের পরিবারকে সমুদ্রপথেই ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে কোন রুটে তাঁদের মিয়ানমারে পাঠানো হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘মিয়ানমার তাদের বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
শিগগিরই এটি কার্যকর হবে। সুবিধাজনক সময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য দ্বিপাক্ষিক, তৃপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক আলোচনা হচ্ছে। বিজিপি সদস্যদের আশ্রয় ও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয় এক নয়। যেকোনো পথেই তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
এখানে কালক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই।’
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সীমান্তে নিরাপত্তা বিষয়ক এক আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো হতো যদি মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারকে আকাশপথে ফেরত পাঠানো যেত।
কিন্তু মিয়ানমার সমুদ্রপথে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ভাবছে। এখন পর্যন্ত ৩২৯ জন অনুপ্রবেশ করেছে। যেটি নিরাপদ এবং দ্রুততম সময়ে করা যায়, সেটি আমাদের অগ্রাধিকার থাকবে।’
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দে দিশাহারা হয়ে যায় মানুষ। সীমান্তের ওপার থেকে মর্টার শেল এসে আছড়ে পড়তে থাকে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির সংঘাতের এলাকা মঙ্গলবার আরো বিস্তৃত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে উখিয়ার থাইয়্যংখালী সীমান্ত পর্যন্ত। বুধবার সংঘর্ষ স্তিমিত হয়ে আসায় গোলাগুলির শব্দ কিছুটা কমেছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে বেশির ভাগ অংশ আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন