জোট সরকার গড়া নিয়ে আলোচনা শুরু করলো নওয়াজ শরীফ ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল। পিটিআই বলছে, তারা সরকার গঠন করতে পারবে। রবিবার লাহোরে আলোচনায় বসেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও আসিফ আলি জারদারি। পাকিস্তানে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ফলপ্রকাশের পর এটাই দুই দলের মধ্যে প্রথম আলোচনা।
সেখানেই সরকার গড়তে পিপিপির সাহায্য চান পিএমএল-এন নেতা।
এর পাশাপাশি জেইউআই-এফ নেতা মৌলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন শাহবাজ শরীফ। তিনি জাতীয় সরকার গড়তে তাদের সাহায্যও চেয়েছেন। সোমবার এমকিউএম সদরদপ্তরে গিয়ে বৈঠক করার কথা পিএমএল-কিউ নেতা সুজাত হুসেনের।
শরীফের দলের প্রস্তাব
পিপিপি ও পিএমএল-এনের মধ্যে আলোচনার পর দুই দলের পক্ষ থেকে যৌথভাবে জানানো হয়, ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু বিস্তারিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদপত্র ডন জানাচ্ছে, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দলকে শরীফের দল প্রেসিডেন্ট, সেনেটের চেয়ারম্যান ও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকারের পদ দিতে চেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর পদ পিএমএল-এনের কাছে থাকবে।
বিলাওয়াল ও আসিফ জারদারি তখন শরীফকে বলেন, পিপিপি-এর সেন্ট্রাল কাউন্সিল সোমবার বসবে। সেখানে শরীফের দলের সঙ্গে জোট করা নিয়ে আলোচনা হবে। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এরপর ইসলামাবাদে এসে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডনাল্ড ব্লমের সঙ্গে দেখা করেন।
পিএমএল-এন নেতারা রবিবার ইসলামাবাদে আলোচনায় বসেন। তারপর সাবেক আইনমন্ত্রী আজম নাজির বলেছেন, পিএমএল-কে বাদ দিয়ে জাতীয় স্তরে কোনো সরকার গঠন হতে পারে না।
জাতীয় স্তরে একাধিক দলকে নিয়ে জোট সরকার গঠন করা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আশা ছাড়েনি ইমরানের দল
ইমরান খানের দলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লতিফ খোসা জানিয়েছেন, ফর্ম ৪৫ অনুযায়ী ৫০ জন পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। তাদের কাছে এই বিষয়ে সরকারি স্ট্যাম্প, প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারের সই করা নথি আছে। তাঁর দাবি পিটিআই ওই আসনগুলো পাবে। তার ওপরে নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসনও পাবে। সবমিলিয়ে পিটিআইয়ের আসন সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১৭০। তখন তারাই সরকার গঠন করতে পারবে। তাঁর দাবি পিটিআই-কে নিষিদ্ধ করা হয়নি। তাদের প্রতীক কেড়ে নেয়া হয়েছিল। তিনি বলেছেন, তাদের সরকার গঠন করতে না দিলে তার ফল ভয়ংকর হবে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন