ব্যাটিং-স্বর্গ উইকেটে টস জিতে ব্যাট করার কথা দুবার ভাবেননি ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে শুরুতে আহমেদ শেহজাদ ও তামিম দুজনই বেশ ভুগেছেন। যত সময় গেছে জড়তা কাটিয়ে তামিম খেলেছেন ৭১ রানের ইনিংস। এবারের বিপিএলে এটি তাঁর প্রথম ফিফটি।
বরিশাল অধিনায়ক ৪৫ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন। তাঁর হাঁকানো চারটি ছয়ের প্রথমটিতে বিপিএলে ছক্কার ‘সেঞ্চুরি’ করেছেন তামিম। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে এই রেকর্ডে তিনিই প্রথম। সব মিলিয়ে অবশ্য দ্বিতীয়।
প্রথম ব্যাটার হিসেবে বিপিএলে ছক্কার সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন ক্রিস গেইল।
সে যা-ই হোক, সৌম্য সরকার (২৮), মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ (১৩), শোয়েব মালিক (১০*) সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে না পারায় বরিশালের ইনিংস থেমে যাচ্ছিল ১৬০-এর আশপাশে। কিন্তু শেষ ওভারে সমীকরণ ঘুরিয়ে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শরিফুল ইসলাম দেন ২৩ রান।
যার ২২ রানই সাইফউদ্দিনের ব্যাট থেকে।
বিশাল দুই ছক্কার সঙ্গে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি শরিফুলকে দুটি চার মেরেছেন সাইফউদ্দিন। তাতে বরিশালের স্কোর ১৮৬ রানে থামলেও, চট্টগ্রামের উইকেটে এই রান অনতিক্রম্য ছিল না। প্রমাণ হিসেবে অ্যালেক্স রসের ইনিংসটা তো আছেই। কিন্তু টুর্নামেন্ট জুড়েই দল হিসেবে ছন্নছাড়া ঢাকাকে একা কক্ষপথে নিতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার।
পাওয়ার প্লের মধ্যেই ৪ উইকেট হারায় ঢাকা। রান মাত্র ৪১। ব্যাটিংয়ে শেষের ঝড়ের পর বোলিংয়ে ঢাকার মেরুদণ্ড ভেঙে দেন সাইফউদ্দিন। ৪ উইকেটের দুটি তাঁর। ফেরান প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ইংলিশ উইকেটকিপার-ব্যাটার অ্যাডাম রসিংটন ও সাইফ হাসানকে। এ ছাড়া মোহাম্মদ নাঈম শেখ আউট হন কেশভ মহারাজের বলে। খালেদ আহমেদের শিকার শন উইলিয়ামস।
এখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ঢাকা। এক প্রান্তে রসের ৮৯ রানের ইনিংসটা বৃথা গেছে। ৪৯ বলে ৭ ছক্কা ও ৫ চারে অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ৮ উইকেটে ১৫৯ রানে থামে ঢাকার ইনিংস।
২৭ রানের এই জয়ের ফলে সেরা চারের লড়াইয়ে ভালোভাবে টিকে থাকল বরিশাল। আগেই ছিটকে যাওয়া ঢাকা এ নিয়ে ১০ ম্যাচের শেষ ৯টিতেই হারল। বিপিএলের এক মৌসুমে এর চেয়ে বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ড নেই আর কোনো দলের। আগেরটিতে নাম ছিল সিলেট সানরাইজার্সের। ২০২২ সালে দলটি আট ম্যাচ হেরেছিল।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন