গ্রামীণ টেলিকম ভবনের ১৬টি প্রতিষ্ঠানের আটটি গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। এসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসার মুনাফার টাকায় গড়ে তোলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকম ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ড. ইউনূস।
এ সময় গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, গ্রামীণ কল্যাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম মঈনুদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত গ্রামীণ টেলিকম ভবনে ইউনূসের ১৬টি কম্পানি রয়েছে। যার প্রতিটির চেয়ারম্যান ড. ইউনূস। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “গ্রামীণ ব্যাংকের ‘নামধারী’ কয়েকজন কর্মকর্তা ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
ওই দিন থেকে তাঁরা ভবনে তালা মেরে রেখেছেন। নিজের বাড়িতে অন্য কেউ যদি তালা মারে, তখন কেমন লাগার কথা আপনারাই বলেন। তাহলে দেশে আইন-আদালত আছে কিসের জন্য। তাঁরা আদালতে যেতে চান না।
”
ড. ইউনূস বলেন, পুলিশের কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইলেও কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। সরকারেরও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। সে জন্য এ বিষয়ে আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলে জানান তিনি।
গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় টেলিকমের ব্যবসাগ্রতিষ্ঠান গড়া হয়েছে কি না? জানতে চাইলে ইউনূস বলেন, ‘এখানে গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো টাকা নেই। ব্যাংকের কোনো দাবি-দাওয়াও নেই, এটা পরিষ্কার।
আমরা আইন বুঝে কাজ করেছি। এখন জটিল পরিস্থিতিতে কাজ করতে হয়। আইন ভঙ্গ করলে বিপদের চেয়ে মহাবিপদ। সব কিছু আইন মেনে করা হয়েছে। তাঁদের যদি অন্যরকম উদ্দেশ্য থাকে সেটা তাঁদের ব্যাপার। গ্রামীণ ব্যাংকের এসব প্রতিষ্ঠানে কোনো অধিকার নেই।’
এদিকে মিরপুরে ড. ইউনূসের সংবাদ সম্মেলনের খবর শুনে সকালে ঝাড়ু মিছিল করে একদল মানুষ। সকাল ৮টা থেকে চিড়িয়াখানা রোডে অবস্থিত গ্রামীণ টেলিকম ভবনের সামনে অবস্থান নেয় তারা। তারা ঝাড়ু হাতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এ ছাড়া গ্রামীণ টেলিকমের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাইরে বের করে দেয়। এ সময় আশপাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি ছিল। টেলিকম ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া ও মিছিল করা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বলে দাবি করে গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন