নিজের সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দেখানোর মাধ্যমে ঋণদাতাদের সঙ্গে প্রতারণা করার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে জরিমানা করা হয়েছে। নিউইয়র্কের একজন বিচারক জালিয়াতির মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে তিন বছরের জন্য নিউইয়র্কে ব্যবসা করতেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুক্রবার বিচারক আর্থার এনগোরন এ রায় দেন।
এদিকে রায়ে ট্রাম্পের দুই ছেলে ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ও এরিক ট্রাম্পকে ৪০ লাখ ডলার করে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাদের কোম্পানির সাবেক সিও অ্যালান ওয়াইসেলবার্গকে জরিমানা করা হয় ১০ লাখ ডলার। এ ছাড়া নিউইয়র্কে ব্যবসা করার ওপর দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প তাঁর কোম্পানি বা এই কোম্পানির অধিভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠান তিন বছরের জন্য কোনো ঋণের আবেদন করতে পারবেন না।
তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্পের আইনজীবী। বরাবরের মতো এবারও জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের কথা জানান তার আইনজীবীরা। আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হলে উচ্চ আদালত মামলাটি পর্যালোচনা না করা পর্যন্ত এই রায় স্থগিত থাকবে।
আর আপিল চলাকালে ট্রাম্প জরিমানা বা ব্যক্তিগত সম্পদ জব্দ এড়াতে চাইলে তাকে ৩০ দিনের মধ্যে অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশা জেমস এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, ট্রাম্প ও তার পরিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ট্রাম্প অর্গানাইজেশন ঋণের শর্তে সুবিধা পাওয়ার জন্য এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্যাংকারদের ধোঁকা দিয়ে বছরে তার মোট সম্পদের মূল্য প্রায় ৩৬০ কোটি ডলার বেশি দেখিয়েছেন।
বিচারক ট্রাম্পের ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিল করা বন্ধ করে দেন। বিশেষজ্ঞের মতে, এই আদেশের ফলে কার্যকরভাবে ট্রাম্পের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য শেষ হয়ে যেতে পারে।
বেশ কয়েকটি ফৌজদারি অপরাধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন।
সূত্র: বিবিসি
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন