সিলেটে ধাক্কা দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের গুরুতর আহত করা বেপরোয়া বাসের সুপারবাইজারের পর এবার চালক ও তার সহকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুপারভাইজারকে র্যাব এবং চালক ও তার সহকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশের হাতে গ্রেফতার দুজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানার পৈরতলা গ্রামের মৃত কান্তি চন্দ্র দেবের ছেলে (বাসচালক) বাবুল চন্দ্র দেব (৪৯) ও কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার রামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে (হেল্পার) এরশাদ হোসেন (৪২)।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরদিন (শুক্রবার) বাসের সুপারবাইজার জয়নাল মিয়াকে (৪০) কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯। তিনি ওই জেলার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহসড়কের তেমুখী পয়েন্টে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ (পিপিএম)-এর নেতৃত্বে একটি টিম বিশেষ অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। এ সময় সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ‘রিয়েল কোচ’ নামে একটি বাস বেপরোয়া গতিতে এসে রাস্তার পাশে পার্কিংরত পুলিশের পিকআপ ভ্যান এবং পুলিশ কর্মকর্তা-সদস্যদের চাপা দেয়। এতে আজবাহার আলী শেখসহ পুলিশের উর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাসহ ছয়জন সদস্য গুরুতর আহত হন এবং পুলিশের পিকআপ ভ্যানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আজবাহার আলী শেখ ছাড়া বাকি আহতরা হলেন- অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীর, সিলেট বিমানবন্দর থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) জহুরুল ইসলাম, বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম নুনু মিয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রেজাউল করিম ও গাড়িচালক নায়েক হাবিবুর রহমান।
ঘটনার পরপরই বাসটির চালক, সহকারী ও সুপারভাইজার পালিয়ে যান। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এসএমপি’র জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশের পাশাপাশি অভিযুক্তদের ধরতে র্যাব-৯-ও অভিযান শুরু করে এবং ঘটনার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই বাসটির সুপারভাইজার জয়নালকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করে র্যাব-৯।
এদিকে, ঘটনার দিন রাতেই হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থেকে বাসচালক ও সহকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সিলেটভিউ-কে জানান- আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ তিনজনকে আদালতে প্রেরণক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আহত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউসহ বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসাধীন। দুর্ঘটনায় পুলিশের গাড়ির আনুমানিক পাঁচলক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন