ভোরের সূর্য নাকি দিনের সঠিক পূর্বাভাস দেয়। তবে কথাটা দুর্দান্ত ঢাকার কেউ শুনলে মন খারাপ করার কথা! টুর্নামেন্টের শুরুটা তারা করেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে। এরপরের গল্পটা শুধুই হতাশার। যেখানে ঢাকার সঙ্গী হয়েছে টানা ১১ হার।
যার শেষটি আজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে।
আগে ব্যাটিং করে চট্টগ্রাম যে খুব বড় স্কোর করেছিল, তা নয়। তাদের ইনিংস শেষ হয়েছিল ৬ উইকেটে ১৫৯ রানে। লক্ষ্য তাড়ায় পাঁচ উইকেটে ১৪৯ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা।
বলার মতো স্কোর বলতে, অ্যালেক্স রসের ৫৫ রানের ইনিংস। চট্টগ্রাম ম্যাচ জিতেছে ১০ রানে। টানা তিন হারের পর এই জয় চট্টগ্রামের শেষ চারের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে। ১১ ম্যাচ থেকে ছয় জয়ে তাদের ১২ পয়েন্ট।
এক ম্যাচ কম খেলে ১০ পয়েন্ট খুলনা টাইগার্সের, তারা আছে টেবিলের পাঁচ নম্বরে।
চট্টগ্রামের ইনিংসটা তানজিদ হাসান তামিম ও টম ব্রুসময়। দলীয় সংগ্রহের দুই তৃতীয়াংশ (১১৮ রান) এসেছে তাঁদের ব্যাট থেকে। তানজিদ ৭০ ও ব্রুস ৪৮ রান করেছেন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১২ রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে।
ওপেনার সৈকত আলী ও তিনে নামা জশ ব্রাউন আউট হন ২৪ রানের মধ্যে। তৃতীয় উইকেটে তানজিদ ও ব্রুসের ৯৫ রানের জুটি। ১১৯ রানে এই জুটির ভাঙার পর চট্টগ্রামের ইনিংস আর সেভাবে এগোয়নি।
আগের দিন ঝড় তোলা ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার রোমারিং শেফার্ড মাত্র তিন রান করেন। শরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রানে দুই উইকেট নেন। ১২ ম্যাচে এই বাঁহাতি পেসারের উইকেট সংখ্যা ২২টি। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। যদিও লিগ পর্বেই শেষ হয়ে গেছে তাঁর এবারের বিপিএল। দুই উইকেট নিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদও। ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়েছেন তিনি।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন