মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন শনিবার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে বলেছেন, ইসরায়েলের হাতে আগামী মাসগুলোতে সহিংসতার চক্রের অবসান ঘটানোর একটি ‘অসাধারণ সুযোগ’ রয়েছে। কারণ প্রায় প্রতিটি আরবদেশই তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পক্ষে।
এ ছাড়া ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কারের জন্য যে প্রচেষ্টা চলছে, তা ইসরায়েলের জন্য আরো ভাল অংশীদার হতে সাহায্য করবে বলেও মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কূটনীতিক।
ইসরায়েলের মাটিতে হামাসের হামলার ফলে তেল আবিব যখন গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, তখন আলোচনাকারীরা সংঘাতের অবসান ও দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার উপায় খুঁজতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ব্লিনকেন মধ্যপ্রাচ্যে বেশ কয়েকবার সফর করেছেন। তিনি একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের ‘একটি স্থায়ী সমাপ্তি’ খুঁজতে এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
অন্যদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফাহতে অনুপ্রবেশের জন্য ইসরায়েল প্রস্তুতি নেওয়ায় প্রচেষ্টাগুলো বিফলে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। শহরটিতে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ আশ্রয় চেয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতি এক বার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি মনে করেন, ‘সামনের মাসগুলোতে ইসরায়েলের জন্য সহিংসতার চক্রটি একবার এবং সবার জন্য শেষ করার একটি অসাধারণ সুযোগ রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এমন নতুন তথ্য রয়েছে যা আগে ছিল না। কার্যত প্রতিটি আরবদেশ এখন সাধারণত ইসরায়েলকে এই অঞ্চলে সংহত করতে চায়। সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায়, যদি তারা ইতিমধ্যে তা না করে থাকে।
নিরাপত্তার আশ্বাস এবং প্রতিশ্রুতি প্রদান করতে চায়, যাতে ইসরাইল আরো নিরাপদ বোধ করতে পারে।’
মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, পশ্চিম তীরে ক্ষমতায় থাকা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) সংস্কারের জন্যও প্রকৃত প্রচেষ্টা চলছে, কিন্তু হামাস শাসিত গাজায় নয়। যার উদ্দেশ্য হলো, ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করতে পিএকে আরো কার্যকর করা এবং ভবিষ্যতে ইসরায়েলের জন্য আরো ভাল অংশীদার হওয়া। তা সত্ত্বেও, একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাওয়া অপরিহার্য, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
এ ছাড়াও মিউনিখে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের সঙ্গে এক বৈঠকে ব্লিনকেন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন—উভয়ের আরো নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য ‘প্রকৃত সুযোগের’ ইঙ্গিত দিয়েছেন।
হারজোগও সুযোগ রয়েছে বলে সম্মত হয়েছেন। তবে তাঁর মতে, ‘এগুলো গভীরভাবে বোঝা দরকার’।
পাশাপাশি হারজোগ জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই ‘হামাসের মৌলিক অবকাঠামো ধ্বংস ও নির্মূল করার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।’
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন