দেশে দীর্ঘ ৩৭ বছর পর ভূগর্ভে তেলের সন্ধান মিলে সিলেটে। জৈন্তাপুর-গোয়াইনহাট এলাকায় ১০ নম্বর কূপের প্রথম স্তরেই কূপ খননের সময় সেখান তেলের সন্ধ্যান পাওয়া যায়। পরে গেল বছরের ২৬ নভেম্বর গোলাপগঞ্জের কৈলাসটিলায় নতুন গ্যাস পাওয়ার কথা জানা যায়। এবার কৈলাশটিলায় ১.৬ টিসিএফ ((ট্রিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস পাওয়ার আশাবাদ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সিলেট অঞ্চলে জোরালোভাবে জরিপকাজ চলছে বেশ কয়েক বছর থেকে। এই অঞ্চলের মাটির নীচ থেকে প্রতিনিয়ত ভালো খবর আসছে। এখানকার গ্যাস ও তেল জাতীয় অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখছে।
এদিকে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) অনুসন্ধান কূপ কৈলাশটিলা-৮ খনন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
এসময় মন্ত্রী বলেন, কৈলাশটিলা ফিল্ডে আগে ৩ টিসিএফ মজুদ ছিল। অনুসন্ধান কূপ খনন করায় মজুদ আরও বাড়বে। দেশীয় ফিল্ড থেকে গ্যাস পেলে ৪ টাকায় পাওয়া যায়, একই পরিমাণ গ্যাস আমদানি করতে ৬০ টাকা খরচ হয়। মাত্র ২৩ শতাংশ গ্যাস আমদানি না হলে অনেক সাশ্রয় হতো। আগামী চার মাসের মধ্যে খনন শেষ হলে নিশ্চিত হওয়া যাবে কৈলাশটিলায় গ্যাসের ব্যাপারে। তবে আমরা আশাবাদি।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে (অনুসন্ধান কূপ) গ্যাসের পাশাপাশি জ্বালানি তেলের সন্ধান পাওয়া কথা জানিয়ে ছিলো বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রনালয়। এর আগে ২৬ নভেম্বর কৈলাসটিলায় নতুন গ্যাস পাওয়ার কথা জানা যায়। যাতে ৭০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) গ্যাসের মজুত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
জানা গেছে, কৈলাশটিলা-৮ কূপের খনন কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি। ১২০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির এই কূপটি খনন করছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে বিদ্যমান পাইপলাইন ও আড়াই কিলোমিটার দূরত্বে ব্যবহার যোগ্য প্রসেস প্লান্ট রয়েছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, কৈলাশটিলায় এর আগে ৭টি কূপ খনন করা হয়েছে প্রতিটা কূপেই গ্যাস পাওয়া গেছে। ৩৫০০ মিটার খনন করা হলে ১ টিসিএফ-এর উপরে গ্যাস পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন