জিম্মিদের মুক্তি না দিলে রমজানে রাফায় অভিযান: ইসরায়েল

gbn

রমজানেও রাফাহতে অভিযান চালাবে ইসরায়েল। দেশটির যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ বলেছেন, “রমজানে হামাস গাজায় আটক বাকি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে, আগামী মাসে রাফায় ইসরায়েল দীর্ঘ এবং ব্যাপক আক্রমণ শুরু করবে।” রবিবার জেরুজালেমে তিনি আরো বলেন, “বিশ্ব এবং হামাস নেতাদের অবশ্যই জানতে হবে, যদি রমজানের মধ্যে আমাদের জিম্মিরা বাড়িতে ফিরে না আসে, তবে রাফাহ এলাকাসহ সর্বত্র যুদ্ধ চলবে।” পবিত্র রমজানমাস ১০ মার্চ থেকে শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

ইসরায়েলি সরকার শহরটিতে কতদিন ধরে হামলা চলবে, এর নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দেননি। মে পরিস্থিতিতে রাফার ১.৭ মিলিয়ন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় চেয়েছেন। ব্যাপক হতাহতের সম্ভাবনার ভয়ে, বিদেশি সরকার এবং সাহায্য সংস্থাগুলো বারবার ইসরায়েলকে সতর্ক করে রাফাকে রেহাই দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। গাজার শেষ প্রধান শহর রাফাহ এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি স্থল অভিযানের শিকার হয়নি।

 

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপ থাকা সত্ত্বেও, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, ‘রাফাহ বাদ দিলে যুদ্ধ শেষ করা যাবে না।’ গতকাল রবিবার জেরুজালেমে এক সম্মেলনে নেতানিয়াহু জিম্মি চুক্তিসহ বা ছাড়াই হামাসের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ বিজয় অর্জনের শপথ করেছেন।বেনি গ্যান্টজ বলেছেন, সমন্বিত পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং মিসরীদের সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে আক্রমণ চালানো হবে। ফলে যতটা সম্ভব বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনা যায়।

কিন্তু অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বেসামরিকরা কোথায় নিরাপদে সরে যাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

 

ইসরায়েল বলেছে, তারা বিশ্বাস করে জিম্মিদের পাশাপাশি হামাসের নেতারা রাফাহতে আছে। ইসরায়েলি পরিসংখ্যানে ৭ অক্টোবরের হামলার সময় হামাস প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করেছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক অভিযানে অন্তত ২৮ হাজার ৮৫৮ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

 

সূত্র: এএফপি  
 

জিবিডেস্ক //

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন