ম্যাচের আগেই সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবাল ট্যাগ পেয়ে গিয়েছিল রংপুর রাইডার্স-ফরচুন বরিশাল লড়াই। শেষ পর্যন্ত জমাট এক ম্যাচই হয়েছে। যেখানে বরিশালকে এক উইকেটে হারিয়েছে রংপুর।
বাদ যায়নি সাকিব-তামিম লড়াইও।
মুখোমুখি সাকিবের প্রথম বলেই আউট হয়েছেন তামিম। তামিমকে আউট করে চিরচেনা উদযাপনই করেছেন সাকিব। পরে সাকিব আউটের পর সেটার মিমিক্রিও করেছেন তামিম।
তবে তামিমের দেখেননি মুশফিকুর রহিম।
ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক নিজেই জানিয়েছেন এ কথা। এটাও বলেছেন তামিমের মিমিক্রির হাইলাইটস দেখবেন, 'তাই নাকি? (তামিম মিমিক্রি করেছে কি না)।সত্যি কথা, আমি দেখি নাই। আমি দেখেছিলাম ক্যাচটা হয়েছে কি না।
এরপর কে ব্যাটিংয়ে আসবে, পরের বলের পরিকল্পনা কী এসব নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। সত্যি কথা আমি দেখিই নাই। আপনারা বললেন, এখন গিয়ে হাইলাইটস দেখতে পারি, কী হয়েছে।'
দল হারলেও অনেক দিন পর সংবাদ সম্মেলনে এসে বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন মুশফিক। জানালেন ঠিক কোথায় বরিশালের ছন্দ চলে গিয়েছিল, 'দেখেন উইকেটটা খুব ভালো ছিল।
পাওয়ার প্লেতে আমাদের ভালো জুটি ভালো হয়েছে। তামিম যেভাবে ব্যাট করছিল, সে আউট হওয়ার পরেও টম বেন্টন একটু সংগ্রাম করছিল। তবে আরেক প্রান্ত থেকে কাইল মায়ার্স খুবই ভালো ব্যাট করেছে। অনেক সময় মোমেন্টাম শিফট হলে একটু সময় লেগে যায়। একটা উইকেট পড়ার পর আরেকটু সময় কেউ নিলে...কাইল মায়ার্সের সাথে যদি আরেকটা জুটি গড়তে পারতাম, তাহলে ভিন্ন খেলা হতো।'
বরিশালের মিডলঅর্ডার মূলত ধসিয়ে দিয়েছে রংপুর রাইডার্সের আবু হায়দার রনি। এই বাঁহাতি পেসারের প্রশংসাও করেছেন মুশফিক, 'আমরা জানতাম রনি এই ম্যাচটা খেলতে পারে, যেহেতু রাতের খেলা। আর আমাদের ৪-৫ জন বাঁহাতি ব্যাটার ছিল, সেক্ষেত্রে ওরা (রংপুর) হাসান মুরাদকে খেলাবে না। রিপন মন্ডল বা বাকিরা প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করতে না পারায় রনির মতো কেউ একজন আসতে পারে বলে ধারণা করেছিলাম। কিন্তু এখানে এসে যে এতো ভালো করবে...। এখানে বল অতো সুইং করছিল না। বলটা একটু ভেজা ছিল। সে যে লেন্থে বল করেছে, সেখানে সুবিধা পেয়েছে। আর সে একটু স্কিডি টাইপ বোলার, চট্টগ্রামের উইকেটে স্কিডি টাইপ বোলাররা বাউন্স বেশি না করে উইকেট টু উইকেট বল করলে সবসময় ম্যাচে থাকে। আমি মনে করি, সে সহায়তা যেটা পেয়েছে, সেটা সে কাজে লাগিয়েছে।'
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন