লিগ পর্বে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের আজ ছিল শেষ ম্যাচ। প্লে অফ নিশ্চিত করতে ঘরের মাঠে এই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাদের। খুলনা টাইগার্সকে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেই কাজটা চট্টগ্রাম করেছে দারুণভাবে। রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পর তৃতীয় দল হিসেবে প্লে অফে জায়গা করে নিয়েছে চট্টগ্রাম।
এই হারে খুলনার প্লে অফের সম্ভাবনা আরো জটিল হয়েছে।
চট্টগ্রামের দেওয়া ১৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ম্যাচের কোনো অংশে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেনি খুলনা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে দলটি। দলীয় ১৩ রানে বিলাল খানের বলে আউট হন পারভেজ হাসান ইমন।
এরপর এনামুল হক বিজয় ও শাই হোপের ৫৪ রানের জুটি। পেসার শহিদুল ইসলামের বলে এনামুল ৩৫ রানে আউট হওয়ার পর খুলনার ব্যাটারদের যাওয়া-আসা শুরু হয়।
দলীয় শতকের আগে আউট হন এভিন লুইস (৬), হোপ (৩১), মাহমুদুল হাসান জয় (৭) ও আফিফ হোসেন (৬)। এখান থেকে শেষ ভরসা ছিলেন জেসন হোল্ডার।
ওয়েস্ট ইন্ডিয়াজের এই অলরাউন্ডার ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি। চট্টগ্রামের হয়ে অধিনায়ক শুভাগত হোম চৌধুরী ৩টি ও বাঁহাতি পেসার বিলাল ২টি উইকেট নেন।
এর আগে চট্টগ্রামের জয়ের পুঁজি এনে দেন তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসে ১৯তম ওভারে যখন আউট হয়ে ফেরেন, তাঁর নামের পাশে ঝলমল করছিল ১১৬ রানের ইনিংস। যদিও চট্টগ্রামের শুরুটা হয়েছিল দলীয় ৪ রানে ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিমকে হারিয়ে।
এরপর সৈকত আলীর সঙ্গে তানজিদের ৬৬ রানের জুটি। ১৭ বলে তিন চারে ১৮ রান করে হোল্ডারের বলে আউট হন সৈকত।
টম ব্রুস ও তানজিদের তৃতীয় উইকেট জুটিতেই মূলত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে খুলনা। দুজনের ১১০ রানের জুটি। এই জুটিতে খুলনার বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দেন তানজিদ। এই বাঁহাতি ওপেনারের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম শতকও এসেছে ব্রুসের সঙ্গে জুটিতে। এবারের বিপিএলে সব মিলিয়ে তৃতীয় সেঞ্চুরির পর ১১৬ রানে থামেন তানজিদ। তাঁর ১৭৮.৪৬ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে সমান ৮টি করে চার ও ছক্কার মার রয়েছে। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে এটাই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর।
তানজিদের আউটের পর ৫ বলে দুই চারে ১০ রান করেন রোমারিও শেফার্ড। তবে এক প্রান্তে অপরাজিত থেকে যান ব্রুস। ২৩ বলে সমান দুই চার ও ছক্কায় ৩৬ রান করেন এই নিউজিল্যান্ড ব্যাটার।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন