কাগছে-কলমে টুর্নামেন্টের দুই শক্তিশালী দল রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। প্রথম কোয়ালিফায়ারের লড়াইয়ে অবশ্য রংপুরকে ছাড়িয়ে গেছে কুমিল্লা। লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটিং নৈপুণ্যে রংপুরের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয়ে বিপিএলের দশম আসরের ফাইনালে উঠেছে কুমিল্লা। আগামী পরশু দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ফরচুন বরিশাল ও রংপুরের লড়াইয়ে নির্ধারিত হবে ফাইনালে কুমিল্লার প্রতিপক্ষ হবে কোন দল।
রংপুরের ১৮৬ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় কুমিল্লার শুরুটা অবশ্য ভালো ছিলো না। ফজলহক ফারুকির প্রথম বলেই আউট হন সুনিল নারিন। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে রংপুরের বোলারদের কোনো পাত্তাই দেননি তাওহিদ হৃদয় ও লিটন দাস। বিশেষ করে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের প্রদশর্নী দেখিয়েছেন তাওহিদ।
দুজনের ১৪৩ রানের জুটি ভাঙে তাওহিদের বিদায়ে। আবু হায়দার রনি রংপুর দলে স্বস্তি ফেরান। আউট হওয়ার আগে ৪৩ বলে ৪ ছক্কা ও ৫ চারে ৬৪ রান করেছেন তাওহিদ।
শুরুতে কিছুটা জড়তা থাকলেও লিটন অবশ্য তাওহিদকে ছাড়িয়ে যান।
৫৭ বলে তাঁর ৮৩ রানের ইনিংসই ম্যাচের পিঠ থেকে শেষ অনিশ্চয়তাটুকুও মুছে দেয়। লিটন ইনিংসটি সাজান ৯ চার ও ৪ ছক্কায়। জয় থেকে ১৩ রান দূরে থাকতে লিটন আউট হলে মঈন আলি (১২*) ও আন্দ্রে রাসেল (২*) জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
ব্যাটিংয়ে শুরু থেকে সুবিধা করতে পারেনি রংপুর। ৬৬ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় তারা।
কুমিল্লাকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। তাঁর বলে আন্দ্রে রাসেলকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। এরপর ১৩ রান করা রনি তালুকদার আউট হন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলে আসা পেসার রহনত দৌল্লা বর্ষণের বলে।
সুবিধা করতে না পেরে আন্দ্রে রাসেলের বলে আউট হন সাকিব আল হাসান। একটু পর সুনিল নারিনের বলে তাঁকে অনুসরণ করেন শেখ মেহেদী হাসান। পঞ্চম উইকেটে জিমি নিশামের বলে নিকোলাস পুরানের ৩৮ রানের জুটি। ৯ বলে ১৪ রান করা পুরানকে ফেরান পেসার মুশফিক হাসান।
একপ্রান্তে উইকেট পড়তে থাকলেও আরেকপ্রান্তে নিশাম কুমিল্লার বোলারদের ওপর ভালোই ঝড় বইয়ে দেন। শুরুতে রানের জন্য সংগ্রাম করলেও তাঁর সঙ্গে যোগ দেন নুরুল হাসান সোহান। নুরুল ২৪ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় ৩০ রান করে আউট হলেও সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে অপরাজিত থাকেন নিশাম। তাঁর ৪৯ বলের ইনিংসটি সাজানো ৮ চার ও ৭ ছক্কায়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাঁর বিধ্বংসী ইনিংসটা কাজে আসেনি।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন