বিমান অবতরণের পর রানওয়ে থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত হাঁটতে বাধ্য হয়েছিলেন ৮০ বছরের এক ব্যক্তিকে। ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থিত ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে হুইলচেয়ার দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। হেঁটে বিমানবন্দরের দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার পর মৃত্যুও হয়েছিল তাঁর। সেই ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়াকে ৩০ লাখ রুপির জরিমানা করা হলো।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ঘটনার পরপরই তড়িঘড়ি করে পদক্ষেপ নিয়েছিল দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ডিজিসিএ। এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারলাইনসকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ পাঠায় তারা। সাত দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এয়ার ইন্ডিয়া সেই জবাব জানানোর পরই বিষয়টি খতিয়ে দেখে ডিজিসিএ। তার ভিত্তিতে এয়ারলাইনসকে ৩০ লাখ রুপির জরিমানা করা হয়।
এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে শোকজ নোটিশের জবাবে জানানো হয়েছিল, মারা যাওয়া বৃদ্ধের স্ত্রীর জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কর্মীরা তাঁর জন্য অন্য একটি হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করছিলেন।
সে সময় তাঁকে অপেক্ষা করার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু স্ত্রীকে যখন হুইলচেয়ারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন বৃদ্ধ তাঁর পাশে হাঁটতে শুরু করেন।
সংস্থাটি আরো বলেছে, ‘১২ ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্ক থেকে মুম্বাই পৌঁছেছিলেন প্রবীণ স্বামী-স্ত্রী। অভিবাসনের লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রবীণ। তাঁর স্ত্রী হুইলচেয়ারে বসে ছিলেন।
সে সময় যথেষ্ট হুইলচেয়ার ছিল না। প্রবীণকে অনুরোধ করা হয়েছিল, দ্বিতীয় হুইলচেয়ার না আনা পর্যন্ত তিনি যেন অপেক্ষা করেন। কিন্তু তিনি স্ত্রীর পাশে হাঁটতে শুরু করেন।’
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, সংস্থার এই যুক্তি শুনে ডিজিসিএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রবীণ এবং ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য যে নীতি রয়েছে, তা লঙ্ঘন করেছে এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থা। ১৯৩৭ সালের এয়ারক্র্যাফট আইনের সেই ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে। তার পরই জরিমানা আদায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এর পর থেকে এয়ার ইন্ডিয়াকে যথেষ্টসংখ্যক হুইলচেয়ার রাখতেও বলেছে ডিজিসিএ।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন