বার্লিনে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে ঘিরে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ

জার্মানির রাজধানী বার্লিনে ফিলিস্তিনপন্থী একদল ব্যক্তি দেশটিতে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত রন প্রসোরকে হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গাজা সংঘাতের রক্ত প্রসোরের হাতে লেগে আছে বলে চিৎকার করে তারা। বুধবার পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, তাঁরা ঘটনার তদন্ত করছেন। তবে ঘটনার খুব বেশি বিস্তারিত জানাননি তাঁরা।

 

স্থানীয় পত্রিকাগুলোর খবর থেকে জানা গেছে, প্রসোরের একটি ব্যক্তিগত সাক্ষাতের সময় এক দল ব্যক্তি তাঁকে বাধা দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ফিলিস্তিনপন্থী ওই আন্দোলনকারীরা প্রসোরের উদ্দেশ্যে চিৎকার করছে।

প্রসোরের সঙ্গে এ সময় একাধিক দেহরক্ষী ছিলেন। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের প্রসোরের কাছে আসতে দেননি।

 

প্রসোরের হাতে গাজার রক্ত লেগে আছে বলে অভিযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। সেখানে বলতে শোনা যায়, ‘লুকাতে পারবেন না রন প্রসোর। আমরা আপনাকে গণহত্যার অভিযোগে অভযুক্ত করছি।’

‘একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়’
বার্লিনের মেয়র কাই ভেগনার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রদূত অক্ষত ছিলেন বলে তিনি স্বস্তি প্রকাশ করেন। তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলের লোকজনকে এভাবে ব্যক্তিগতভাবে হয়রানি ও হুমকি দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বার্লিন কোনো রকমের বিদ্বেষ ও উসকানি মেনে নেবে না এবং এখানকার সমাজ, বিদ্যাপীঠ বা কোথাও ইহুদিবিদ্বেষের ঘটনা ঘটলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

ইসরায়েলের সমালোচকরা গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ফিলিস্তিনের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে বলে দেশটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এমনকি আন্তর্জাতিক আদালত আইসিজেতে দেশটির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

ইসরায়েল অবশ্য এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

 

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে, ইসরায়েল সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি মারা গেছে। তারা অবশ্য হামাস যোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখায়নি। অন্যদিকে ইসরায়েল বলছে, ১০ হাজার যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে, যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেনি।

ইসরায়েল বলছে, ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আক্রমণের পর আত্মরক্ষায় গাজায় তাদের অভিযানে কোনো ভুল নেই। গত ৭ অক্টোবর হামাস ও অন্য সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা ইসরায়েলে হামলা চালালে এক হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জন জিম্মি হয়।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন