বিশ্বকাপের মেডেল বিক্রির পর দলের গোপনীয়তা প্রকাশের হুমকি ফুটবলারের স্ত্রীর

দেশের জার্সিতে খেলার পর একজন খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে শিরোপা জেতা। ২০২২ সালে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে লিওনেল মেসির। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হয় আর্জেন্টিনার। সেই দলের সদস্য ছিলেন ইজেকুয়েল প্যালাসিওস।

স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছিলেন একটি মেডেল। তবে সেই মেডেল আর বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্সি স্মৃতি হিসেবে বেশিদিন রাখতে পারলেন না তিনি। বদলা নিতে সেগুলো নিলামে বিক্রি করে দিয়েছেন তার স্ত্রী জেসিকা ফ্রিয়াস।

 

৩ বছরের প্রেমের সম্পর্ক পূর্ণতা পায় ২০২১ সালে।

ভালোই চলছিল তাদের। তবে বিশ্বকাপের পর শুরু হয় ঝামেলা। অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করে ডিভোর্স চান ফ্রিয়াস। কিন্তু এমন প্রস্তাবে রাজি নন প্যালাসিওস।

এসব ঝালেমার মধ্যে বুয়েনস অ্যাইরেসের উত্তরে একটি শহর টাইগ্রেতে কিস্তিতে কেনা অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য পরিশোধ করছিলেন না আর্জেন্টাইন ফুটবলার। তাতে আরো বেশি চটে যান ফ্রিয়াস।

 

ফ্রিয়াসের ধারণা, ডিভোর্সের পর অ্যাপার্টমেন্টের মাকিকানা পাবেন কিনা সেই শঙ্কা থেকে প্যালাসিওস টাকা পরিশোধ করতে চাচ্ছেন না। এ জন্য বিশ্বকাপের মেডেন ও জার্সি বিক্রি করে সেই টাকা দিচ্ছেন ফ্রিয়াস। তবে ঠিক কত টাকায় তিনি সেগুলো বিক্রি করেছেন তা জানা যায়নি।

তবে বিক্রির পর বিক্রেতার সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে স্টোরিতে প্যালাসিওসের স্বাক্ষরিত জার্সির সঙ্গে পোজ দিয়ে তার এবং ক্রেতার একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। আরেক ছবিতে দেখা যায় বিশ্বকাপের মেডেল।

 

এখানেই ক্ষান্ত নন ফ্রিয়াস। ডিভোর্স না পেলেও আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের গোপনীয়তা প্রকাশের হুমকি দিয়েছেন, 'আমি চাই সে বিবাহবিচ্ছেদে স্বাক্ষর করুক। আমি তার কাছে শুধু আমার যা আছে তা চাই, শুধু জার্মানিতে থাকা বৈবাহিক সম্পদ নয়। আমি চুপ থাকা তার জন্য সুবিধাজনক। জাতীয় দল সম্পর্কে আমার জানা কিছু আছে, যা আমি বলিনি।'

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন