অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারে ঝুঁকছেন সিলেটের মানুষ। অনেকটা অসুস্থ হলেই অ্যান্টিবায়োটিক এমন অবস্থা। এরমধ্যে শিশুদের ওপর এর প্রয়োগ সবচেয়ে বেশি। তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, যক্ষ্মা, মূত্রনালির সংক্রমণ, নবজাতকের সংক্রমণ, কানের সংক্রমণ, টাইফয়েড জ্বর এবং ত্বক ও নরম টিস্যুর সংক্রমণ রোগের জন্য সিলেটের মানুষজন এখন প্রতিনিয়তই গ্রহন করছেন অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট একটি গবেষণায় বলেছে, সিলেট বিভাগে শিশুসহ ৭৩ শতাংশ মানুষ অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার করছেন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে অ্যান্টিবায়োটিক অতিমাত্রায় ব্যবহার ও অপব্যবহারের ফলে এর কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে। রোগের জীবাণুগুলো হয়ে উঠছে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে অসংখ্য বহু ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণু পাওয়া গেছে। এরমধ্যে রোগীরা হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন কিংবা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি ছিলেন। তাদের রক্ত, কফ, পুঁজ, মূত্র, ক্ষত স্থানের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত সাত মাসের গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছেন- অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সারা বিশ্বেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধ এখন কাজ করছে না। ওষুধের চেয়ে জীবাণুরা শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তৃতীয় জেনারেশনের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল আবিষ্কারের পর নতুন করে কোনো মৌলিক মলিকুল আবিষ্কার করা যায়নি। দেখা যায়, হাসপাতালে যেসব রোগী সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হন তাদের মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের রেজিস্ট্যান্স বেশি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন