লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসসহ সাতজনের জামিন

গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজীয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জামিন দিয়েছেন আদালত। 

একই মামলায় আদালত আরো সাত আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন। তারা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী ও পারভীন মাহমুদ। 

আজ রবিবার (৩ মার্চ) আত্মসমর্পন করে আসামিরা জামিন আবদন করলে শুনানির পর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেন তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন।

 আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল।

 

আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন  বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাত জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন।

এ মামলায় মোট ৮ জনের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। পরিচালক পারভীন মাহমুদ আগেই জামিন নিয়েছিলেন।’

 

কত দিনের জামিন, জানতে চাইলে এ আইনজীবী বলেন, ‘যেহেতু আদেশে জামিনের সময়সীমা উল্লেখ করেননি আদালত, সুতরাং বোঝা যায় এটা নিয়মিত জামিন। মানে মামলা নিষ্পত্তি পর্যন্ত।

 

এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) এম এ আউয়াল (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ)। জামিন পাওয়া অন্য তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। 

এ মামলায় আগামী ১৬ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আেইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। 

গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি এ মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুদক।

 

 

ড. ইউনূস ছাড়া অভিযোগপত্রে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম এবং এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম এবং জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসানের নাম রয়েছে। কামরুল হাসান বাদে ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। 

দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদি হয়ে গত বছরের ৩০ মে এ মামলা করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন