সিলেটের সদর উপজেলার ৩ নং খাদিমনগর ইউনিয়নের কাকুয়ারপার এলাকায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন স্বামী রুবেল আহমদ। এ নিয়ে কাকুয়ারপার এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
২ নভেম্বর সোমবার সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন স্বামী রুবেল।জিডি নং ৭৫
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানাযায়,কাকুয়ারপারের মন্নান মিয়ার(মন্নান ড্রাইভার) মেয়ে রুমানাকে ৭ বছর আগে বিয়ে করেন একই এলাকার মরহুম আমির আলীর ছেলে রুবেল আহমদ। তাদের সংসারে ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
সাধারণ ডায়েরিতে রুবেল আহমদ উল্লেখ করেন বিয়ের ২ বছর পরই উগ্রমেজাজী রোমানা বেগম আমার মায়ের সাথে কথা কাটাকাটি করে তার পিত্রালয় চলে যায়।সে আমার কন্যা সন্তানকে পিতার স্নেহ থেকে বঞ্চিত করে তার পিতা বাড়িতে আটকে রেখেছে, আমি কোন কিছু খাবার দিলে আমার মেয়েকে খেতে দেয় না আমার স্ত্রী রুমানা।
তিনি জানান এলাকার মুরুব্বিয়ানা সহ চেষ্টা করেও রোমানাকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসতে পারি নি।সে শর্ত দেয় আমার বৃদ্ধা মাকে ছেড়ে থাকে নিয়ে আলাদা বাসা বাড়া করে থাকতে,কিন্তু আমার অভাব অনটনের সংসার তাকে নিয়ে আলাদা বাসায় একক ভাবে বসবাস করা সম্ভব নয় বলে জানাতেই আমার স্ত্রী রুমানা আমাকে বিভিন্ন ভয় ভীতি মূলক হুমকি প্রদর্শন করে।
সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর রাত ৯ ঘটিকায় আমার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বলে আমার বৃদ্ধা মা ও ছোট ছোট বোনদের ফেলে যদি তাকে নিয়ে আলাদা বাসায় বসবাস না করি তাহলে সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা করে জেলের ভাত খাওয়ানো সহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করবে।এমতাবস্থায় আমার ও আমার পরিবারের ভবিষ্যৎএর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে উল্লেখিত বিষয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।
স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর এই জিডি নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনা চলছে। এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজমুল আলম বলেন আমরা এ বিষয় নিয়ে মারাত্মক বিব্রত। স্বামীর পক্ষ আমাদের মূল্যায়ন দিলেও স্ত্রী পক্ষ স্থানীয় পঞ্চায়েত কে তোয়াক্কা করেন না।গরীব ঘরের সন্তান রুবেল, তার পরিবারকে না জানিয়ে ৮ লক্ষ টাকা কাবিননামা লেখিয়ে তার উপর জুলুমবাজি করা হচ্ছে। আমরা গ্রামবাসী এই মন্নান পরিবারের এসব কর্মকান্ডের তীব্রভাবে নিন্দা জানাচ্ছি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন