আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তাৎপর্য ফুটিয়ে তুলতে বাফওয়া ও আদার্স উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন ক্লাবের সভানেত্রী তাহমিদা হান্নানের দিকনির্দেশনায় নারী সংগঠন বাংলাদেশ বিমানবাহিনী মহিলা কল্যাণ সমিতি (বাফওয়া) আজ শুক্রবার (৮ মার্চ) অনাড়ম্বর পরিবেশে দিবসটি পালন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাফওয়া ও আদার্স উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন ক্লাবের সভানেত্রী শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি, যিনি নারীর সম-অধিকারের বিষয়টিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। তিনি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি, যিনি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায়, কর্মসংস্থানে, ক্ষমতায়নে ও উন্নয়নে অতুলনীয় ভূমিকা রেখেছেন।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বাফওয়ার কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাতজন বরেণ্য নারীর ব্যক্তিগত সফলতার স্মৃতিচারণা করা হয় এবং সম্মাননা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নাহিদ ইজাহার খান এমপি বরেণ্য নারীদের বাফওয়া ক্রেস্ট ও উপহার প্রদান করেন।
সভানেত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, উপস্থিত বরেণ্য নারীরা জয় আর শক্তির অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে সফলতার চূড়ায় উঠে সময়কে দিয়েছেন নতুন মাত্রা।
তাঁদের চিন্তা-চেতনা, কর্ম, সৃষ্টি, প্রাপ্তির পূর্ণতা দিয়ে তাঁরা সমাজ, সংস্কৃতি আর অর্থনীতির নতুন কাঠামো নির্মাণে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে নারীদের অধিকারের ও সাফল্যের ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন। অনুষ্ঠানটিকে মহিমান্বিত করার লক্ষ্যে নারীদের ওপর গীতি নৃত্য নাট্যের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে নারী দিবস উপলক্ষে বাফওয়া কর্তৃক প্রকাশিত বার্ষিক স্মরণিকা ‘অভ্রনীল’-এর পঞ্চম সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এই স্মরণিকাটিতে বাফওয়ার সার্বিক কর্মকাণ্ডের চিত্র স্বল্প পরিসরে তুলে ধরা হয়েছে। বাফওয়ার কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার পাশাপাশি স্মরণিকা প্রকাশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে সংগঠনের সদস্যরা যে আন্তরিকতা ও একাগ্রতা প্রদর্শন করেছে, তার জন্য প্রতিমন্ত্রী সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সভানেত্রী তাহমিদা হান্নানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং বাফওয়ার প্রতি তাঁর দায়িত্ববোধ ও সম্পৃক্ততায় অতি দ্রুত বহুমুখী প্রকল্প গ্রহণের ফলে সংগঠনটি শুধু বিমানবাহিনী নয়, জাতীয় পর্যায়ে এক অনন্য উচ্চতর নারী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী হতে আগত অতিথিবৃন্দ, কেন্দ্রীয় বাফওয়ার সহসভানেত্রীবৃন্দ, ঢাকা এলাকায় বসবাসকারী বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের সহধর্মিণী, মহিলা কর্মকর্তা এবং বিমানসেনা পত্নীগণ উপস্থিত ছিলেন।
যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে অনুষ্ঠানটি সফল হয়েছে তাঁদের প্রতি প্রধান অতিথি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সকল বরেণ্য নারীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সকল ঘাঁটিতে একইভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন