স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, টেকসই ও উন্নত সেবা প্রদান করার জন্য সেবা সরবরাহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিকভাবে সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ভর্তুকি দেওয়া হলেও তা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর কোনো সমাধান নয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই ধীরে ধীরে নিজের সক্ষমতা তৈরি করে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের যে পথনকশা তৈরি করেছেন সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে এ ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আজ রবিবার ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকা ওয়াসার ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিল কালেকশন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনটি বেসরকারি ব্যাংক ও তিনটি মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ব্যবস্থার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, মানুষের আয় বৃদ্ধির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে যাতে মানুষ বিদ্যুৎ এবং পানি নিজের টাকায় কিনে খরচ করতে পারে। তিনি কৃষিক্ষেত্রে ভর্তুকির প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, কৃষিক্ষেত্রে আমাদের কৃষক এবং তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিপণনব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ক্ষেত্রেও আমাদের ভর্তুকি দিতে না হয়।
মো. তাজুল ইসলাম এ সময় ঢাকার আশপাশের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, রাজধানী ঢাকাকে বসবাসযোগ্য রাখতে হলে এই নদীগুলো দূষণমুক্ত করে এগুলোর নাব্যতা নিশ্চিত করা জরুরি।
মন্ত্রী বলেন, সুপেয় পানি মানুষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা। ওয়াসার আগে অনেক ঘাটতি থাকলেও সেগুলো সমাধান করে বর্তমানে ঢাকার বাসিন্দাদের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঢাকাকে পাঁচ ভাগে ভাগ করে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন ঢাকা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, ঢাকা ওয়াসার বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার বালা।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন