ফাইনালের আগের দিন দুই দলের অফিশিয়াল ফটোসেশনে ট্রফি উন্মোচনের সময়ই বাংলাদেশ অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাস মনে মনে ভেবেছিল, এই ট্রফি নিয়ে তারাই দেশে ফিরবে। হয়েছেও তাই। ভারতকে টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী সাফের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এই জয়ের বিশ্বাস আগের দিনই পেয়েছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক।
লিগ পর্বে শতভাগ সাফল্য বাংলাদেশের মেয়েদের দিয়েছিল আত্মবিশ্বাসের রসদ। কিন্তু ফাইনালে প্রথমার্ধে সেই আত্মবিশ্বাস কোথায় যেন হারিয়ে গেল! ফাইনালে যে স্নায়ুচাপের ব্যাপার থাকে সেটাই হয়তো জেঁকে বসেছিল মেয়েদের মধ্যে। লিগ ম্যাচে যে ভারতের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেয়েছিল সেই দলের বিপক্ষেই কিনা কোণঠাসা মেয়েরা। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই চার মিনিটের মাথায় বাংলাদেশের জালে বল।
আনুষ্কা কুমারীর গোল এগিয়ে দেয় ভারতকে। তবে আসর জুড়ে বাংলাদেশের কিশোরীরা যে নৈপুণ্য দেখিয়েছে তা তো আর এত সহজে বৃথা যেতে পারে না।
আগের তিন ম্যাচে যে ছন্দময় ফুটবল খেলেছে সেটার দেখা মেলে দ্বিতীয়ার্ধে। মধ্যমাঠের দখল নিয়ে গোছাল ফুটবল বাংলাদেশকে দেয় ম্যাচে ফেরার উপলক্ষ।
৭০ মিনিটে মরিয়ম বিনতের গোল করে স্বস্তি ফেরায় লাল-সবুজের ডাগ আউটে। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ সমতার পর শিরোপার ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে গোলরক্ষক ইয়ারজান অনবদ্য নৈপুণ্যে বাজিমাত সাইফুল বারীর শিষ্যদের।
শিরোপা জেতার পর বাংলাদেশ অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাস মনে করিয়ে দিল ফাইনালের আগের দিনের ফটোসেশনের একটি ঘটনা। যেই মুহূর্তটি পুরো দলকেই ভালো করতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে বলে মনে করে সে, “আমি খুব শিহরিত ছিলাম, যখন আমাদের সামনে ফটোসেশনের জন্য ট্রফিটা আনা হয়।
যখন ওটার মোড়ক খোলা হয়, তখন আমি প্রথম দেখেছিলাম। যখন ট্রফি ধরতে ভারতের অধিনায়ককে বলা হলো, সে কিন্তু ধরেনি, আমি ধরেছিলাম। তখন থেকেই আমার মনে হয়েছে আমি যেহেতু ট্রফিটা প্রথম স্পর্শ করেছি, আমরা দেশে নিয়ে যাব। সতীর্থদেরও আমি এটা বলেছি, ‘ট্রফিটা আমি ছুঁয়েছি, এটা যেন ভারতের কেউ নিতে না পারে।’ আমি সার্থক হয়েছি।”
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন